বাংলাদেশ ও ভারতের স্থিতিশীলতা পরস্পরের জন্য জরুরি, মনে করেন দিল্লির জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা 

|

শিবলী নোমান, নয়াদিল্লি থেকে:

ঘনিষ্ঠ ও নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের জন্য সব সময় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা জরুরি বলে মনে করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছে, তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

নয়াদিল্লি সফররত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের একটি দলের সঙ্গে আলাপকালে দেশটির জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা বলেন, ঐতিহাসিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুটি দেশের স্থিতিশীলতা পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে তারা বারবার উত্তরপূর্ব ভারতের অতীত সংকট নিরসনে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সটার্নাল পাবলিসিটি বিভাগের আমন্ত্রণে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দলটির সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এই কূটনীতিকরা।

সোমবার সকালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিটি রুমে মতবিনিময়ে অংশ নেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী, যুগ্মসচিব (বাংলাদেশ মিয়ানমার) স্মিতা পান্থ ও পরিচালক (বাংলাদেশ মিয়ানমার) নবনীতা চক্রবর্তী। স্মিতা পান্থ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে তৈরি এই দুই দেশের সম্পর্ক ক্রম অগ্রসরমান। মাঝে মধ্যে গতির হেরফের হলেও সম্পর্কের ধরণ বদলায় না। তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ বাংলাদেশ-ভারতের ঐতিহ্যগত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্র। এর সঙ্গে নতুন সময়ে এসে যোগ হয়েছে উন্নয়ন সহায়তা ও অংশীদারত্ব যা ক্রমেই বাড়ছে। গত এক যুগে এই উন্নয়ন সহায়তা ১০ গুণ বেড়েছে বলে জানান তিনি। আগামীতে গবেষণা, গ্রিন এনার্জি ও মহাকাশবিজ্ঞানভিত্তিক সম্পর্ক আরো বাড়বে বলে স্মিতা ইঙ্গিত দেন।

বাংলাদেশ বিষয়ে অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক জানান, এখন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা তৃতীয় দেশে পণ্য পাঠাতে কলকাতা বন্দরসহ ভারতের তিনটি বন্দর সুবিধা পাচ্ছে, যা দেশটির তৈরি পোশাক খাতকে সুবিধা দেবে। তিনি দু’দেশের ভ্রমণকারীদের মধ্যে নগদ অর্থবিহীন ভ্রমণসুবিধা বাস্তবায়নে কাজ চলছে উল্লেখ করে বলেন, দুদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ আগামীতে আরো বাড়াতে কাজ করছে দুই দেশ।

এসময় স্মিতা পান্থ আরো বলেন, দুদেশের জন্যই পরস্পরের স্থিতিশীলতা জরুরি। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের বর্তমান অগ্রগতি ও এতে ঢাকার সহায়তা এর বড় দৃষ্টান্ত।

অরিন্দম বাগচী তার বক্তব্যে দু’দেশের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে বাঁধা বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের দলটিকে ভারতে স্বাগত জানান। এসময় পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেন তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply