চট্টগ্রামের স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনকে হত্যা করা হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের। দু’দফা তদন্ত শেষে সাড়ে ৪ মাস পর রোববার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানে, এটিকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কীভাবে সে আত্মহত্যা করেছে তা উল্লেখ করা হয়নি। তাই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নারাজি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাসফিয়ার পরিবার।
ঘটনার পর থেকে এই মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় রহস্য। কীভাবে, কেনো, কার সাথে সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলো তাসফিয়া, জানা যায়নি আজও। অথচ, দুই দফায় সাড়ে ৪ মাস তদন্ত শেষে, শুধুমাত্র ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ৭ প্রত্যক্ষ্যদর্শীসহ ১৬ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সাগরের পানিতে নেমে আত্মহত্যা করেছে তাসফিয়া।
তদন্তের প্রথমদিকে বলা হয়েছিলো, তাসফিয়াকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশার চালককে পাওয়া গেলে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে। কিন্তু হদিস মেলেনি সেই অটোরিকশা এবং চালকের।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই তাসফিয়ার আত্মহত্যার কারণও। সব মিলিয়ে পুলিশের এই প্রতিবেদনকে মনগড়া বলছে তাসফিয়ার পরিবার। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজি দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তাসফিয়ার মা নাঈমা খান।
গেলো ১ মে বিকালে ছেলে বন্ধু আদনানসহ একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হবার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাসফিয়ার। পরদিন পতেঙ্গায় সমুদ্র সৈকতে পাওয়া যায় তার মরদেহ। ঘটনার পর আদনান ও কথিত বড় ভাই ফিরোজসহ আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply