ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধ নয়, যেন আরও উস্কে দিতে তেল আবিব সফর করছেন পশ্চিমা নেতারা

|

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকেই একের পর এক তেল আবিব সফর করছেন পশ্চিমা নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, জার্মান চ্যান্সেলর এমনকি ইউরোপীয় কমিশনের নেতারা পর্যন্ত সফর করে ফেলেছেন তেল আবিব।

এসব নেতারা মুখে সংঘাত বন্ধের কথা বললেও তাদের কার্যক্রম বিপরীতমুখী। ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে পশ্চিমা নেতারা এই লড়াইয়ে ইসরায়েলের যা সহায়তা লাগবে, সব কিছুই দেয়ার ঘোষণা দেন। সেখানে গিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন বাইডেন। তবে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কথা বলেন তিনি।

যত কঠিন সময়ই আসুক, ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্ব নেতাদের কেউ কেউ। তেল আবিবে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহুর উদ্দেশে ঋষি সুনাক বলেন, আপনাদের খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা চাই, আপনি জয়ী হোন।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে পশ্চিমা নেতাদের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই, উল্টো তাদের এমন আশ্বাসের পর গাজাবাসীর ওপর যেন আরো বেড়েছে হামলার তীব্রতা। যেন সংঘাত উস্কে দেয়াই তাদের এই সফরের মূল লক্ষ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, যতক্ষণ না বিশ্ব নেতারা উদ্যোগ নেবেন, ততক্ষণ চলতেই থাকবে রক্তক্ষয়ী এই সংঘাত।

চ্যাথাম হাউজের বিশ্লেষক নমি বার ইয়াকভ বলেন, এই সংঘাত আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। আরও প্রাণহানি হবে গাজা উপত্যাকায়। তাই বৈশ্বিক নীতি নির্ধারকদের সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। যতক্ষণ না বিশ্ব নেতারা এই সংঘাত বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সংঘাত চলতেই থাকবে।

এ অবস্থায় বেসামরিকদের প্রাণহানি বন্ধ এবং সংঘাত থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান চীন ও রাশিয়ার।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply