বাংলা সাহিত্যের পঞ্চ পাণ্ডব বলা হয় অমিয় চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব বসু, বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এবং জীবনানন্দ দাশকে। তখনকার সময়ে সাহিত্যচর্চায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব থেকে বেরিয়ে ত্রিশের দশকের যেসব কবিরা নিজেরদের তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ।
এভারগ্রিন এ কবির জন্ম বরিশালে। বরিশাল ব্রজ মোহন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং বি এম কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। এরপর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ এম এ পাস করেন।
জীবনের বেশিরভাগ সময় বেকারত্ব তার পিছু ছাড়েনি। তবে তার লেখালেখি থেমে থাকেনি।
১৯২৭ সালে কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরা পালক’ প্রকাশিত হয়। বুদ্ধদেব বসু তাকে ‘নির্জনতম কবি’ এবং অন্নদাশঙ্কর রায় ‘শুদ্ধতম কবি’ অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন।
তিনি একই সঙ্গে কবি, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক। কবিতার পাশাপাশি ২১টি উপন্যাস এবং দেড় শর কাছাকাছি ছোটগল্প লিখেছেন। কিন্তু একটিও প্রকাশ করেননি।
প্রেম নিয়ে জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন বহু কবিতা। প্রেমের প্রতীক্ষা নিয়ে কবি লিখেন,
তবে ভালবাসার সঙ্গে কষ্ট ও বেদনা ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে।
কবির জীবদ্দশায় যে ক’টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিলো তা হচ্ছে– ঝরা পালক (১৯২৭), ধূসর পাণ্ডলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন (১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) ইংরেজি ছাড়াও ফরাসিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় ভাষায় তার কবিতা অনূদিত হয়েছে।
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতায় ট্রামের ধাক্কায় আহত হন তিনি। ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
আজ ২২ অক্টোবর, ৬৯ বছর পরও হাজারো বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন, রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ।
এআই/এটিএম
Leave a reply