ভয় আর আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন ইসরায়েল সীমান্তবর্তী লেবাননের বাসিন্দারা। এরইমধ্যে, ইহুদি সেনাবহরের হামলায় সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম ধ্বংস হয়েছে। বাধ্য হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে। লেবানিজদের শঙ্কা, যেভাবে হামলার পরিধি বাড়াচ্ছে ইসরায়েল, শিগগিরই গাজার মতো বর্বরতা শুরু হবে লেবাননেও। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলুর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ ভয়াবহ চিত্র।
গাজায় হামাসের পর তেলআবিব সংঘাতে জড়াচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র সাথেও। সময়ের সাথে সাথে লেবাননে বাড়ছে তেলআবিবের হামলার পরিধি। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ইহুদি সেনাদের আগ্রাসনে বিধ্বস্ত হচ্ছে দেশটির সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর অনেক ঘরবাড়ি-স্থাপনা। স্কুল কলেজ পরিণত হচ্ছে অস্থায়ী অশ্রয়কেন্দ্রে।
প্রাণভয়ে একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া এক যুবক বলেন, আমার গ্রামে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। ২০ থেকে ২৫টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে গেছে। বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি।
স্থানীয় কর্মকর্তা মোরতাদা হান্না বলেন, এমনটা আশা করিনি, তবে এটাই এখন বাস্তবতা। যারা ঘরবাড়ি হারাচ্ছে তাদের আমরা আশ্রয় দেয়ার চেষ্টা করছি। আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হলে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হবে। নতুন আশ্রয়হীনদের কোথায় আশ্রয় দেয়া যায় সে বিষয়ে এরইমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
ভয় আর আতঙ্কেও ঘরবাড়ি ছাড়ছেন অনেক লেবানিজ। তাদের শঙ্কা, হিজবুল্লাহর সাথে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হলে, গাজার মতো লেবাননেও বর্বরতা চালাবে ইসরায়েল। আর তাতে, দেশটিতে ক্রমেই বাড়ছে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা।
আতঙ্কিত লেবাননের এক নাগরিক বলেন, ভেবেছিলাম পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে। তবে এখন মনে হচ্ছে ইহুদিরা এত সহজে থামবে না। গাজায় যা ঘটছে তাতো দেখতে পাচ্ছে সবাই। পুরোপুরি গণহত্যা শুরু করেছে ইসরায়েল। কোনো মানুষকেই তারা মানুষ মনে করে না।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলজুড়েই বিরাজ করছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। হামলা আতঙ্কে লেবানন ভ্রমণে নাগরিকদের সতর্ক করেছে অনেক দেশ। আন্তর্জাতিক মহল বলছে, তেলআবিব ও হিজবুল্লাহ’র সংঘাতের কারণেই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বাড়ছে।
এসজেড/
Leave a reply