সিনিয়র করেসপনডেন্ট, মানিকগঞ্জ:
নিখোঁজের ২৩ দিনেও সন্ধান মেলেনি মানিকগঞ্জের মহিলা মাদরাসার ২ শিশু শিক্ষার্থীর। আবাসিক থেকে তারা নিখোঁজ হলেও দায় নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। থানায় সাধারণ ডায়েরি হলেও, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে স্বজনদের।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে সিংগাইর উপজেলার দশআনী গ্রামের তাসলিমা আক্তার তিবনা’র পরিবার। একই সঙ্গে নিখোঁজ নবাবগঞ্জের সোহানা আক্তারও। তারা দেওলী হযরত সাওদা মহিলা মাদরাসার হেফজো খানার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।
হঠাৎ ১ অক্টোবর মাদরাসা থেকে নিখোঁজ হয় তারা। পরিবারের অভিযোগ, নিখোঁজের বিষয়টি প্রথমে গোপন রেখেছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এরআগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে মারপিটও করা হয়।
দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হলেও, তৎপরতা নেই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের। নিখোঁজের পর প্রতিষ্ঠানে বসেছে সিসি ক্যামেরা। দুই শিক্ষার্থীকে মারপিটের কথা স্বীকারও করেছেন এই পরিচালক।
এ ব্যাপারে মাদরাসা পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুইজনকে শাসন করা হয়েছিল। দুই চারটা বেত দিয়ে মারা হয়েছে।
নিখোঁজের বিষয়ে সিংগাইর থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে অসন্তোষ। এ বিষয়ে ক্যামেরায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম।
এটিএম/
Leave a reply