ভারতীয় ক্রিকেটের এক আবেগের নাম ওয়াংখেড়ে। গাভাস্কারের ছয় বলে ছয় ছক্কা, ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আর শচীনের বিদায়; মনে রাখতেই হবে ওয়াংখেড়েকে। এই মাঠকে ভুলে যাওয়া অসম্ভব ক্রিকেটের দর্শকের।
আরব সাগর তীর ঘেঁষা ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংবলিত নগরী মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ের অবস্থান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে শহরের আরেক স্টেডিয়াম ব্রাবোনের সাথে মনোমালিন্যের জেরে মাত্র ১১ মাসে তৈরী করা হয় এই স্টেডিয়াম। প্রথম খেলা গড়ায় ১৯৭৫ সালে, স্বাগতিক ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঝে।
বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে মাঠের সীমানা। কাটছাঁট করে ৬২ থেকে ৬৫ মিটার পরিধি হতে পারে যার। ফলে স্পিনাররা চাপে থাকবেন স্বাভাবিকভাবেই। আর সাকিবদের শক্তি তো স্পিনেই! পেসারদের জন্যও অবশ্য খুব একটা সহজ হবে না।
পরিসংখ্যান বলে, এখানে আগে ব্যাট কিংবা পরে ব্যাট করার মধ্যে ফলাফলগত তেমন কোনো প্রভাব নেই। ২৪ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ১৩ বার এবং পরে ব্যাট করা দল জয় পেয়েছে ১১ বার। যদিও অতিরিক্ত গরমে বিগ ফ্যাক্টর হতে পারে টস!
ওয়াংখেড়েকে আদতে বলা হয় শচীনের মাঠ। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৫৫ রান তারই। সর্বোচ্চ ১৫টি উইকেট ভেঙ্কটেশ প্রসাদের। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডেরও একটি উইকেট আছে এখানে।
এই মাঠে সর্বোচ্চ সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে করেছিল ৪৩৮ রান। আবার সর্বনিম্ন সংগ্রহটা বাংলাদেশের। ১৯৯৮ সালে ওয়াংখেড়েতে খেলা নিজেদের একমাত্র ম্যাচে ১১৫ রানেই বাংলাদেশ গুটিয়ে যায়।
২৫ বছর আগে খেলা সেই ম্যাচের কেউ নেই এখন দলে। অবশ্য দলের সাথে আছেন দু’জন। একজন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, অন্যজন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। থাকবেন অবশ্য আরও একজন– ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান।
আতহার ২২ বল খেলেও পারেননি রানের খাতা খুলতে। মিনহাজুল আবেদীনও ফেরেন শূন্য রান করে। সব মিলিয়ে ইনিংসে কোনো রান না করেই ফেরেন ৪ জন। একাদশের ৮ জনই পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে যেতে। সেই ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার কিছু নেই, তবে টাইগারদের সামনে সুযোগ আছে নতুন ইতিহাস রচনার।
/এএম
Leave a reply