কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী এগারো সিন্দুর ট্রেনের সাথে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। মাঝে অল্প কিছুক্ষণ বন্ধও রাখতে হয় উদ্ধার কার্যক্রম।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাতেই দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। এ সময় দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের কথা জানান তিনি।
রেল মহাপরিচালক জানান, তদন্তের পর ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। এ ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহয়তা দেয়া হবে। কোন হাসপাতালে কতজন চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং নিহতদের পরিচয় কালকের মধ্যে জানানো যাবে।
এদিন বিকেলে ঢাকা থেকে কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। অন্যদিকে বিপরীত দিক থেকে এগারো সিন্ধুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারো সিন্ধুর ট্রেনের শেষের দুই তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এতে এগারো সিন্ধুরের তিনটি বগি উল্টে যায়। এই দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-নোয়াখালী ও ময়মনসিংহ-চট্রগ্রাম রেলযোগাযোগ বন্ধ ছিল বেশ কয়েক ঘণ্টা। এরমধ্যে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর মালবাহী ট্রেনটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর বর্তমানে ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
দুর্ঘটনার পরই ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলে গেছে দুইটি রিলিফ ট্রেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেছে। আর শতাধিকের বেশি হতাহতের শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফায়ার সার্ভিস।
/এমএন
Leave a reply