স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে পায়রা বন্দর চ্যানেল থেকে সকল জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম এসব তথ্য দেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিবকিল্লা ও ৮ হাজার ৭৬০জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ৭৬টি মেডিকেল টিম, ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ৬০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, আজ রাত ৮টার পর ঢাকা থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথে উপকূল থেকে সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। সে লক্ষ্যে সকল সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রাতে এসব সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রায় নেয়াদের জন্য শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে আগে থেকেই সকল মাছধরা ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ৫টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এগুলো হলো, ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো ও পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ কমিটি, কন্ট্রোল রুম পরিচালনা কমিটি, ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম, মেডিকেল টিম ও বহিরাগত আশ্রয় প্রার্থীদের আবাসন ব্যবস্থাপনা কমিটি।
এদিকে, কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা অনেক পর্যটক নিজ গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে পর্যটকদের একটি বড় অংশকে এখনও সৈকতে ঘুরতে দেখা গেছে। টুরিস্ট ও নৌ পুলিশ সকাল থেকে বার বার মাইকিং করলেও সৈকত থেকে পর্যটকদের সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
এসজেড/
Leave a reply