ফিলিস্তিনিদের সাথে নতুন করে উত্তেজনা শুরুর পর ব্যক্তিগত অস্ত্র কেনার হিড়িক পড়েছে সাধারণ ইসরায়েলিদের মধ্যে। হামাসের হাত থেকে আত্মরক্ষার যুক্তি দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র কিনছে দেশটির সাধারণ মানুষ। বেসামরিক জনগণকে অস্ত্র ধারণে উৎসাহিত করছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও। বাসিন্দাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। খবর হারেৎজ।
গাজায় তেল আবিবের বিরতিহীন হামলা চললেও হামাস আতঙ্ক কাটছে না সাধারণ ইসরায়েলিদের। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নজরদারি ব্যবস্থা আর চৌকস গোয়েন্দা তৎপরতার পরও হামাস সদস্যরা দেশটির ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ভরসা রাখতে পারছে না বাসিন্দারা। আত্মসুরক্ষার উপায় খুঁজছে তারা। আর এরই জেরে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। বাসিন্দারা অস্ত্র কেনার পাশাপাশি নিচ্ছে অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণও। যদিও হামাসের সাম্প্রতিক হামলার আগে থেকেই অস্ত্র কিনছে ইসরায়েলিরা।
ব্যক্তিগত অস্ত্র ক্রয়ের জন্য ২০২১ সালে ১৯ হাজার আবেদন পড়েছিল ইসরায়েলে। আবেদনের সংখ্যা গত বছর এক লাফে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ হাজারে।
হামাসের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতের জেরে আরও ৪ লাখ মানুষকে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতির কথাও জানিয়েছে তেল আবিব। বিনামূল্যে দেয়া হবে ১০ হাজার অস্ত্র। যার মধ্যে ৪ হাজার রাইফেল পাবে পশ্চিম তীরের দখলদাররা। এছাড়াও গাজা সীমান্তবর্তী শহর দেরতের প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দারা কোনো বাধা ছাড়াই অস্ত্র কিনতে পারবে।
এরইসাথে অস্ত্র নীতিমালা শিথিল ও ব্যবহারের অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ করার অঙ্গীকার করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতেমার বেন গাভির। মাসিক অনুমোদনের সংখ্যা ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার করার ঘোষণা দেন তিনি।
ইতোমধ্যে দেড় লাখের বেশি সাধারণ ইসরায়েলির হাতে আছে ব্যক্তিগত অস্ত্র। পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর তা ব্যবহার করতেও দেখা যায়।
/আরএইচ/এমএন
Leave a reply