ঘূর্ণিঝড় হামুনের অগ্রভাগ আঘাত হানা শুরু করেছে। অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এর অগ্রভাগ কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করে। এটি শেষ রাত নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল দিয়ে অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া হামুনের প্রভাবে উপকূলের কয়েকটি জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হয়েছে। তারমধ্যে কক্সবাজারে বেশ ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে উপকূলে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হামুন মোকাবেলায় কক্সবাজারে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আসতে শুরু করেন।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গতকাল সোমবার রাত থেকে কক্সবাজার ও উপকূল এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলসহ সারাদেশে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে।
/এমএন
Leave a reply