তবে কি যুক্তরাষ্ট্রকে সময় দিতেই স্থল অভিযানে বিলম্ব করছে ইসরায়েল? বলা হচ্ছে, মিত্র তেলআবিবকে রক্ষায় মধ্যপ্রাচ্যে ঢাল তৈরির চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর সে লক্ষ্যে অঞ্চলটিতে সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিনিরা। অনেকেই বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তাবায়নের জন্যই বাইডেন প্রশাসনের পরামর্শে গাজায় প্রবেশ করতে বিলম্ব করছে ইহুদি সেনারা। খবর রয়টার্সের।
ট্যাংক-সাঁজোয়া যান আর অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র নিয়ে সীমান্তে প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েলের পাঁচ লাখেরও বেশি সক্রিয় ও রির্জাভ সেনা। প্রতিদিনই হামাসকে নির্মূলে অভিযান চালানোর হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে নেতানিয়াহু। অথচ দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত গাজায় ঢুকে মাত্র ৩০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তেলআবিব।
নেতানিয়াহু প্রশাসনের দাবি, কৌশলগত কারণেই স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, অভিযানের আগে তেলআবিবের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করতে চায় মার্কিনিরা। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে গাজায় প্রবেশে বিলম্ব করছে ইসরায়েলি সেনারা।
লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে নিয়মিত বিরতিতে সংঘাত তো চলছেই, চোখ রাঙাচ্ছে সিরিয়া, ইয়েমেনের হুথি ও ইরাকের প্রতিরোধ বাহিনীও। গাজায় ইহুদি সেনারা প্রবেশ করলে ইরান সমর্থিত এসব গোষ্ঠী পুরোদমে যুদ্ধে অংশ নেবে বলেই শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের।
ইসরায়েলকে রক্ষায়, ভূমধ্যসাগরে এরইমধ্যে রণতরী মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তেলআবিবে কয়েক দফায় যুদ্ধ সরঞ্জামও পাঠিয়েছে তারা। চতুর্দিক থেকে হামলা হলেও ইসরায়েলকে যাতে নিরাপদ রাখা যায় সে লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই নিজেদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। অনেকেই বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেই বিলম্ব করা হচ্ছে স্থল অভিযান। যদিও তা স্বীকার করেনি হোয়াইট হাউজ।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ইসরায়েলের সন্ত্রাস নির্মূলের অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে। এটি করতে তারা নিজেরাই পন্থা বেছে নিয়েছে এবং সেটির বাস্তবায়নও তারাই করবে। হামাসকে নির্মূলে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের সক্ষমতা প্রদানে যত রকমের সাহায্য প্রয়োজন অবশ্যই আমরা তা করবে। তবে আমরা ইসরায়েলের ডিভেন্স ফোর্সকে কোনো সামরিক নির্দেশনা দিচ্ছি না।
হামাসের আকস্মিক হামলায় এরইমধ্যে একবার হতভম্ব হয়েছে ইসরায়েল। স্থল অভিযানে ফিলিস্তিনিদের কাছে আবারও নাস্তানাবুদ হতে চায় না তারা। আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় পর্যাপ্ত সমরাস্ত্র নিয়ে গাজায় ঢুকতে চায় ইহুদি সেনারা।
এসজেড/
Leave a reply