এলডিসি থেকে উত্তরণের পর ইইউ’র কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী

|

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি সইয়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লেয়েন উপস্থিত ছিলেন। ছবি: বাসস

এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করতে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সাথে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরোর ঋণ চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়।

বুধবার ব্রাসেলসে ইইউ’র সদর দফতরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এক বিবৃতিতে প্রদানমন্ত্রীকে বলেন, আমি আশা করি যে- ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আমাদের উন্নয়নে সহায়তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান উরসুলা ভন ডার লেয়েন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক (ইআইবি)’র মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন চুক্তিসহ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

শেখ হাসিনা বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে চায়।

তিনি বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রিত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। আমি দ্রুত এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ইইউ’র প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে কৌশলগত ব্যাপারেও ইইউ’র সাথে অংশীদারিত্বে যেতে চায় বাংলাদেশ।





সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply