বিশ্বকাপে ভালো অবস্থানে নেই পাকিস্তান। নিজেদের ছন্দ হারিয়েছে সবশেষ এশিয়া কাপ থেকেই। চলতি বিশ্বকাপ আসরে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেলেও হারতে হয়েছে পরের তিন ম্যাচে। টানা হারে সেমিফাইনালের পথ থেকে প্রায় ছিটকে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে বাকি ৪ ম্যাচে জয় পেলে সেমিতে টিকে থাকবে বাবর বাহিনী।
এমন ব্যর্থতায় তাদের সমালোচনায় মুখোর দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। এমনকি বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। সমালোচকদের দলে এবার যোগ দিলেন দীর্ঘদিন পাকিস্তান জাতীয় দলের বাইরে থাকা ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ।
তার দাবি, পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দেরকে এক চোখে দেখা হয় না। কাউকে আগলে রাখা হয় তো কেউ হচ্ছেন অপছন্দের শিকার।
আহমেদ শেহজাদ বলেন, আমি কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, কয়েকজন খেলোয়াড় ড্রেসিংরুমে পছন্দের পাত্র নন। অন্যদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়, তাদের সঙ্গে তেমন আচরণ করা হয় না। তারা নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়কে দলে রাখার চেষ্টা করে এবং বাকিদের বাদ দেয়া হয়। যেমন তৈয়ব তাহির, তাকে দলে নেয়া হলেও সে পছন্দের পাত্র না হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে বাদ দেয়া হয়।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দুর্দশা নিয়ে আলোচনা চারপাশ থেকেই আসছে। সেই আলোচনার পালে যেনো হাওয়া দিলো দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কঠিন এই সময়ে সমর্থকদের দলের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে পিসিবি।
পিসিবির মুখপাত্র বলেন, বিশ্বকাপে টানা তিন হারের পর দর্শকদের আবেগ ও ভালোবাসা অনুধাবন করতে পেরেছে পিসিবি। তবে আমাদের আশা এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট মহল ও সমর্থকেরা বাবর আজম ও পাকিস্তান দলকে সমর্থন করবেন। এখনও গুরুত্বপূর্ণ চারটি ম্যাচ বাকি। আমরা আশাবাদী ওই ম্যাচগুলোতে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ইতবাচক পারফর্ম করবে দল।
গুঞ্জন রয়েছে- পাকিস্তানের দল নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। অধিনায়ক বাবর আজম ও প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকের দিকে আঙ্গুলও তুলেছিলেন কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার। সেই বিষয়েও কথা বলে পিসিবি।
পিসিবির মুখপাত্র বলেন, বাবর ও ইনজামামকে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের জন্য পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিলো। পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালোর জন্যই চলতি টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাবররা। এরপর তারা লড়বেন ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিপক্ষে।
/এনকে
Leave a reply