ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনের ভাড়া নির্ধারণে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম প্রস্তাবনায় ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেনের ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছিল মেইল ট্রেনে ১২০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১৪৫ টাকা, আন্তঃনগর ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৩৫০ টাকা, এসি চেয়ার ৬৬৭ টাকা, এসি সিট ৮০৫ টাকা ও এসি বার্থ ১২০২ টাকা। বিভিন্ন মহল থেকে এই ভাড়া নিয়ে আপত্তি ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগে নেয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। সংশোধিত প্রস্তাবে মেইল ট্রেনে ৮০ টাকা, কমিউটার ট্রেনে ১০০ টাকা, শোভন চেয়ার ২৩০ টাকা, এসি চেয়ার ৪৪৩ টাকা, এসি সিট ৫২৯ টাকা ও এসি বার্থ ৭৯৪ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত হবে আগামী সপ্তাহে (২ নভেম্বর)।
এদিকে, ১ নভেম্বর খুলনা থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এবং ২ নভেম্বর বেনাপোল থেকে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে। দুটি ট্রেনই চলমান শিডিউল অনুযায়ী পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেন দুটি চলাচল করে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা-যশোর ও ঢাকা-খুলনা রুটের বর্তমান ভাড়া আরও কমানো সম্ভব। তবে সেটির জন্য রেলপথের দূরত্ব কমতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে ঢাকা-যশোর রেলপথের কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত, কমপক্ষে আরও ৬ মাস।
/এএম
Leave a reply