পশ্চিমা নেতাদের বেশিরভাগই এখন ইসরায়েলের পক্ষে একতরফা অবস্থান নিয়েছেন। তবে এ সময় স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ জেরেমি করবিন। ঐতিহ্যবাহী দল লেবার পার্টির সাবেক প্রধান নিজে গাজায় বর্বরতা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েও নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়াজ তুলছেন তিনি। তেলআবিবকে সমর্থন দেয়ায় ব্রিটিশ সরকারের কঠোর সমালোচনায়ও সরব তিনি। খবর পলিটিকোর।
গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে ঢালাওভাবে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। পাশে আছেন জানান দিতে তেলআবিব সফরেও গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান কিয়ার স্টারমারও আত্মরক্ষার দোহাই দিয়ে ইসরায়েলের বর্বরতার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেও সিনিয়র এ নেতার স্পষ্ট অবস্থান নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।
ব্রিটিশ এই এমপি ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট থেকে রাজপথ সবজায়গায়ই বেশ সরব। অস্ত্রবিরতির দাবি তুলেছেন তিনি, সেই সাথে সরকারের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করছেন তিনি।
জেরেমি করবিন বলেন, ৭ অক্টোবর যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। কিন্তু এরপর গাজার পরিস্থিতি প্রতিনিয়তই খারাপ হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ব্রিটিশ প্রতিনিধিকে গাজায় সহায়তা প্রবেশের জন্য অস্ত্রবিরতি কার্যকর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার রেজ্যুলেশনকে সমর্থন না দেয়ার নির্দেশনা কেনো দিয়েছেন। এই সংকট সমাধানের একটাই পথ, আর তা হচ্ছে দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো।
১৯৮৩ সাল থেকেই টানা পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচিত হয়ে আসছেন জেরমি করবিন। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল এই পাঁচ বছর বিরোধী দল লেবার পার্টি প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। বহু আগে থেকেই তিনি যুদ্ধ বিরোধী। রাজনীতির পাশপাশি, সামাজিক সংগঠন স্টপ দ্যা ওয়ার কোয়ালিশনের হয়ে বিভিন্ন দেশের সামরিক সংঘাতে যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ঠতার বিরুদ্ধে কাজ করছেন জেরেমি।
ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সরব থাকায় অবশ্য নানাভাবে চাপেও পড়তে হয়েছে এই রাজনীতিককে। ৭৪ বছর বয়সী করবিনের বিরুদ্ধে কেউ কেউ ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগও তুলেছেন।
এসজেড/
Leave a reply