বঙ্গবন্ধু টানেল নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য

|

ফাইল ছবি।

অবশেষে উদ্বোধন করা হলো কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুলেন সড়ক টানেল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ টানেলের যুগে প্রবেশ করলো। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে যানবাহন চলাচলকারী এটিই প্রথম টানেল । 

টানেলের মোট আয়োতন

সেতু বিভাগের ওয়েবসাইটের বর্ণনা অনুযায়ী-

টানেলের মোট দৈর্ঘ্য : ৯.৩৯ কিলোমিটার

মূল টানেলের দৈর্ঘ্য : ৩.৩১৫ কিলোমিটার

টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে সংযোগ সড়ক- ৫.৩৫ কিলোমিটার

টানেলের প্রবেশপথ: * চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কাছে

* কর্ণফুলী নদীর ভাটির দিকে নেভি কলেজের কাছে

টানেলের বহির্গমন: আনোয়ারা প্রান্তে সার কারখানার কাছে

নদীর তলদেশ থেকে টানেলের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩১ মিটার। টানেলে আছে বিপরীতমুখী দুটি টিউব। ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলে টিউব দুটির একটির সঙ্গে অপরটির দূরত্ব ১২ মিটারের মতো। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেইন আছে। টানেলের উত্তরে নগরীর দিক থেকে আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাঠগড় সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সড়ক দিয়ে টানেলে প্রবেশ করা যাবে।

নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল ও পারকি সমুদ্র সৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই বাঁশখালী, কক্সবাজার, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে।

টানেল তৈরিতে মোট খরচ

এর আগে, ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। প্রায় ৯ বছর পর শেষ হয়েছে টানেলের কাজ।

টানেল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব

টানেল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, টানেলের ভেতরে কৌতূহলবশত কারো হাটা-চলা, সাইকেল কিংবা মোটর সাইকেল নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা সম্পূর্ণরুপে নিষেধ। তাছাড়া টানেলের ভেতরে কোন প্রকার ওভারটেক করা সম্ভব নয় কারণ মনিটরিং রুম থেকে সবসময় সব কিছু পর্যবেক্ষণ করা হবে।

সার্ভিস এরিয়া

টোল কত?

টানেলের ফলে কী কী সুবিধা ?

  • চট্টগ্রাম শহরে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আধুনিক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই প্রকল্প করা হয়েছে
  • ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এর মধ্যে নতুন সড়ক যোগাযোগের কাজে আসবে এই টানেল
  • কর্ণফুলী নদীর উপরের দুই সেতুতে চাপ কমাতেও সাহায্য করবে এই বঙ্গবন্ধু টানেল।
  • শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম নয়, গোটা বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু টানেল।
  • ঝড়-ঝঞ্ঝা উপেক্ষা করে চলাচল করতে হবে না। নদীর তল দিয়েই এই টানেলের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারবে মানুষ।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply