চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের ত্রাণকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। প্রতি ম্যাচেই গোল করে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। বাদ যায়নি এল ক্লাসিকো ম্যাচেও। পিছিয়ে পড়েও দলের জয়ের নায়ক তিনিই। ম্যাচের পর তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডারকে আরও একবার প্রশংসায় ভাসালেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বললেন, আমরা সবাই বেলিংহ্যামের ফর্মে বিস্মিত। খবর গোল ডটকমের।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) লা লিগায় মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় বার্সেলোনাকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারায় রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে দু’টি গোলই করেন বেলিংহ্যাম।
স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ সৃস্টি করে বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬ মিনিটেই বার্সাকে এগিয়ে দেন ইলকাই গুন্দোয়ান। রিয়ালের রক্ষণের ব্যর্থতায় বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ওয়ান-অন-ওয়ানে লক্ষ্যভেদ করেন এই জার্মান মিডফিল্ডার। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস নিয়ে বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে বার্সা। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে রিয়াল ছিল অনেকটাই ধীরগতির। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় গ্যালাক্টিকোরা।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে মুহূর্তের মধ্যে দু’টি সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে গোলরক্ষকের দারুণ নৈপুণ্যে রক্ষা পায় রিয়াল। এরপর আক্রমণে জোর দেয় রিয়াল। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় তারা। অনেক দূর থেকে বুলেট গতির শটে দলকে সমতায় ফেরান এই মৌসুমেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়ালে আসা বেলিংহ্যাম। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জয়সূচক গোলটি করে বার্সার জালে শেষ পেরেক ঠুকেন বেলিংহ্যাম। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে এখন রিয়াল।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বেলিংহ্যামের ভূয়সী প্রশংসা করেন মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তি। তিনি বলেন, তার (বেলিংহ্যাম) মানসিকতার কারণে তাকে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মতো মনে হচ্ছে। আমাদের জন্য কঠিন এই ম্যাচে তার প্রথম গোলটি খেলার গতিশীলতা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। অস্বীকার করবো না, আমরা সবাই তার ফর্মে বিস্মিত, বিশেষ করে তার খেলার স্তর এবং কার্যকারিতা নিয়ে। সে মাঠের সবখানেই থাকে। আজ সে অদম্য ছিল এবং অনেকটা দূর থেকে তার দুর্দান্ত গোল সবাইকে চমকে দিয়েছিল।
তিনি আরও যোগ করেন, বেলিংহ্যাম এই মৌসুমে সহজেই ২০ বা ২৫ গোল করতে পারে। যদিও আমরা তাকে গোল স্কোরার হিসেবে দেখি না। এই মুহূর্তে সে অনেক গোল করছে, কিন্তু আমরা স্ট্রাইকারদের কাছ থেকেও গোল আশা করছি।
বেলিংহ্যামের লা লিগায় ১০ ম্যাচে গোল সংখ্যা হলো ১০টি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ১৩ ম্যাচে তার গোল ১৩টি, এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে তিনটি। সঙ্গে অ্যাসিস্ট আছে তিনটি। শুধু তিন ম্যাচে জালের দেখা পাননি তিনি।
/আরআইএম
Leave a reply