নেই বিদ্যুৎ, পুরোপুরি বন্ধ ছিলো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। গাজা যেন পরিণত হয়েছিলো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জনপদে।
যুদ্ধেরও নিয়ম রয়েছে। বেসামরিকদের প্রাণহানি এড়াতে গঠিত জেনেভা কনভেনশনের সে নিয়মকেও আমলে নিচ্ছে না তেল আবিব। শত্রু-মিত্র সব পক্ষের অনুরোধ-হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে স্থল অভিযানে নেমেছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
আগ্রাসনের শুরু থেকেই স্থল অভিযান না চালাতে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে আসছে ইরান-হিজবুল্লাহ। ইহুদি সেনারা গাজায় প্রবেশ করলে সংঘাত পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোও।
ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসনের পক্ষে যাদের অবস্থান, সেই পশ্চিমাদের অনেকেও স্থল অভিযান নিয়ে সতর্ক করেছে ইসরায়েলকে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ক্রমাগত চাপ তো রয়েছেই। অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে।
নেতানিয়াহুর আগ্রাসনে গাজায় নেমে এসেছে মানবিক বিপর্যয়। নির্বিচারে সাধারণ মানুষ মারায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগও উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। এত চাপ সত্ত্বেও প্রতিদিনই আগের চেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে দেশটি। যেন ধ্বংসের খেলায় মেতেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, আমরা গাজায় লড়াই অব্যাহত রাখবো। পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে এগোচ্ছে আমাদের সেনারা। ধীরে ধীরে স্থল অভিযানের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে। বাহিনীর আকারও প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ানো হবে। আমরা ভালো করেই জানি, আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কী কী করতে হবে।
সবার মতামত তোয়াক্কা না করেই ক্রমাগত আগ্রাসনের পরিধি বাড়িয়ে চলেছেন নেতানিয়াহু। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, আগ্রাসী এই ইসরায়েলকে থামাবে কে?
/এএম
Leave a reply