রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীতে এক বিশেষজ্ঞ ও এক পল্লী চিকিৎসকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে খুন হন এই দুই চিকিৎসক। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মহানগর পুলিশ। তবে হত্যার কারণ এখনও জানা যায়নি।
নিহত চিকিৎসকদের একজন কাজেম আলী আহমেদ। তিনি চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ। নগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন তিনি। অপরজন হলেন, এরশাদ আলী দুলাল (৪৫)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কিষ্টগঞ্জ গ্রামের সামির হাজির ছেলে। কিষ্টগঞ্জ বাজারে তার চেম্বার রয়েছে। সেখানেই তিনি চিকিৎসা দিতেন।
জানা যায়, রোববার রাত পৌনে বারোটার দিকে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা শেষে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন ডা. কাজেম আলী আহমেদ। নগরীর বর্ণালী মোড়ে পৌঁছালে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় ডা. কাজেমের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তিনি মারা যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে, রোববার রাত ৮টার দিকে নগরীর সিটিহাট এলাকায় রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক এরশাদ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত এরশাদ আলীকে তার চেম্বার থেকে জোর করে ধরে একটি মাইক্রোবাসে তোলে। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনার পরে চন্দ্রিমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলো তার পরিবার। রাতে রাস্তার পাশে তার মরদেহের সন্ধান মেলে। চিকিৎসক এরশাদের পরিবারে অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের সাথে তার চাচা রেজাউল ইসলাম রেন্টু জড়িত রয়েছে। তার সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো এরশাদ আলীর।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। অপরাধীদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।
/এনকে
Leave a reply