পাকিস্তানি পেসারদের তোপে ২০৪ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের ৭ম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র ও হারিস রউফের বোলিং তোপে ২৯ বল বাকি থাকতে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটি এবং লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের চল্লিশোর্ধ রান ছাড়া বলার মতো কোনো ব্যাটারই রান করতে পারেননি। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ২০৫ রান।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই বিদায় নেন তানজিদ হাসান তামিম। শাহীনের করা ইনিংসের শুরুর ওভারের প্রথম চারটা ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প ও এর বাইরে রেখেছিলেন শাহীন। কিন্তু পঞ্চম ডেলিভারিতে বল ভেতরে ঢোকালেন তিনি। তাতেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন জুনিয়র তামিম। এলবিডব্লিউর হাত থেকে বাঁচতে রিভিউ নিয়েছিলেন কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।

তানজিদকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে শততম উইকেটের মাইলফলক পূরণ করেন শাহীন। দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ৪ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তকে সাজঘরে ফেরান তিনি।  ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে থাকা উসামা মীরের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত।

৪ নম্বরে ব্যাট করতে আসা মুশফিকুর রহিমও দলের হয়ে হাল ধরতে পারেননি। এই অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটারকে ফেরান হারিস রউফ। হারিসের গুড লেন্থের ডেলিভারিটি ব্লক করতে গিয়েও ঠিকমতো করতে পারেননি মুশফিক। বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে চলে যায়। ৯ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক।

এরপর ৪র্থ উইকেটে ওপেনিং ব্যাটার লিটনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের দিকে নজর দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দু’জনে মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। লিটন ৪৫ রান করে ইফতিখারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। টাইগার ওপেনার ফিফটি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরলেও ক্যারিয়ারের ২৮তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ।

ফিফটি পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিয়াদ। শাহীন শাহ আফ্রিদির লেন্থ ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে মিডল স্টাম্পে পড়া বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইন মিস করে বোল্ড হন ৫৬ রানের ইনিংস খেলা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ক্রিজে আসেন ২ ম্যাচ পর একাদশে সুযোগ পাওয়া তাওহিদ হৃদয়। তবে আবারও টাইগার সমর্থকদের হতাশ করেছেন এই তরুণ ব্যাটার। উসামা মীরের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ রান করা এই ব্যাটার।

ক্রিজে নামার পর থেকেই রয়েসয়ে খেলে রান তুলছিলেন সাকিব আল হাসান। যদিও ৪০তম ওভারে ফিফটির আগেই ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৬৪ বলে চারটি চারে ৪৩ রান করে হারিসকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে সালমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা মেহেদী মিরাজও খেই হারিয়ে ফেলেন। ওয়াসিমের করা গুড লেন্থের বলে ক্রস ব্যাটে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ২৫ রান করা এই অলরাউন্ডার। মিরাজ ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেনি বাংলাদেশের ইনিংস।

পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। দু’টি উইকেট নেন হারিস রউফ। একটি করে উইকেট শিকার করেন উসামা মীর ও ইফতিখার আহমেদ।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply