আন্দোলন দমাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বললেন, আমাদের গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানো যাবে না।
নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার মির্জা আব্বাসকে বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তখন এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতাকে আদালতে নেয়ার পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে, তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মির্জা আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।
গত ২৯ অক্টোবর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলাটি করেন। ওই মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেন। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুরে নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপরই তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।
এছাড়া, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬।
এদিকে, রিমান্ড মঞ্জুর করায় মির্জা আব্বাসের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী অভিযোগ করেন, ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার উদ্দেশ্য হলো তাকে আরও নির্যাতন করা হবে৷
তবে, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে নাশকতা করছে বিএনপি। পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গেছে৷ ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত তাদের বিষয়ে জানতে আসামির রিমান্ড প্রয়োজন।
/এমএন