মানবেতর জীবনযাপন, ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত গাজার শরণার্থী শিবির

|

ছবি: সিসিটিভি

খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরের সাধারণ দৃশ্য। শিশু সন্তান নিয়ে গাদাগাদি করে এক তাবুর নিচে বাস করছে একাধিক পরিবার। ইসরায়েল-হামাস লড়াই শুরুর পর থেকে শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছে গাজার বাসিন্দারা। পর্যাপ্ত খাবার তো দূরের কথা, নেই নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয় সামগ্রীও।

শরণার্থীরা বলছেন, নোংরা পরিবেশ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই রোগাক্রান্ত হবে ক্যাম্পের সবাই। এক শরণার্থী জানান, যেখানে খাওয়ার পানি নেই, সেখানে গোসল তো বিলাসিতা! তাছাড়া, বাচ্চাকে গোসল করিয়ে যে একটা পরিষ্কার কাপড় পরাবো বা পরিষ্কার জায়গায় বসাবো, সেই সুযোগও নেই। বাচ্চাগুলো এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমার বড় ছেলের শ্বাসকষ্ট আছে। রাতে সর্দি লেগে যায় ওর। এদিকে, পর্যাপ্ত মেডিকেল এইডও নেই। ভীষণ চিন্তায় আছি ওদের স্বাস্থ্য নিয়ে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এরই মধ্যে শিবিরে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ। পরিচ্ছন্নতার অভাবে দ্রুতই চরম অবনতি হতে পারে পরিস্থিতি। চিকিৎসক নাহিদ আবু তায়েমা বলেন, ক্যাম্পগুলোতে গাদাগাদি করে অনেক লোক বাস করছেন। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পাচ্ছেন না। তাই শরণার্থীদের মধ্যে ডায়রিয়া, ফুসকুরির মতো বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগ দেখা দিচ্ছে। পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা না গেলে মহামারীতে পরিণত হতে পারে এসব রোগ।

রাফাহ সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় সুপেয় পানি, খাবার আর মেডিকেল সহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণবাহী ট্রাক। তবে শিবির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য এই ত্রাণ। জাতিসংঘ বলছে, গাজার শিবিরগুলোতে এখন প্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার শরণার্থী বাস করছেন।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply