ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের মূর্তিটি শচীন না স্মিথের?

|

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীন টেন্ডুলকারের মূর্তি স্থাপন করার পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই ছিল মহারাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশনের। প্রথমে ঠিক হয়েছিলো এ বছর শচীনের জন্মদিন, অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল এ মূর্তি উন্মোচন হবে। পরে পরিকল্পনা বদলে বিশ্বকাপে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিন করা হয়। পূর্ব ঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার বিকেলে মূর্তি প্রকাশ্যে আনা হয়। কিন্তু পরদিনই সে মূর্তি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দাবি করছেন- এটি শচীনের মূর্তি নয়। এ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা চলছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।

ওয়াংখেড়ে স্থাপিত ভাস্কর্যটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথের মিল খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। স্মিথের নামের নকল অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সাংবাদিক, সমর্থকরা এ নিয়ে মজা করার সুযোগও ছাড়ছেন না। অবশ্য দু’জনের দু’টি ছবি পাশাপাশি দিয়ে আরেকজন বলেছেন, টেন্ডুলকারের ভাস্কর্যের সঙ্গে স্মিথের চেহারার মিল খুঁজে পাওয়ার কারণ, দু’জন একটা বয়সে প্রায় একই রকম দেখতে ছিলেন!

তবে বিতর্ক হোক আর যাই হোক ভাস্কর্য উন্মোচনের সাথে এক অনুষ্ঠানে টেন্ডুলকারকে স্মারকও তুলে দেয় মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।

এ বিষয়ে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক শচীন বলেন, এ ভাস্কর্য শুধু আমার নয়। প্রত্যেক নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান, আমার ক্রিকেটের নায়কেরা, প্রত্যেক সতীর্থ, প্রত্যেক সহকর্মী, যারা আমার পাশে ছিলেন, যাদের ছাড়া এ ভ্রমণ সম্ভব হতো না-সবার প্রতি এটি উৎসর্গ করছি।

শচীনের আবেগ ও অনুভূতির বড় একটা জায়গা জুড়ে আছে ওয়াংখেড়ে। সেসব স্মৃতি মেলে ধরে তিনি বলেন, আমার কাছে বিশেষ মুহূর্ত। এ বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ আমাকে মূর্তি তৈরির কথা জানানো হয়। খুব খুশি হয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো। এখানে আজ দাঁড়িয়ে খুব ভাল লাগছে। মনের মধ্যে হাজার হাজার ছবি ভিড় করে আসছে। কত অসাধারণ স্মৃতি রয়েছে এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে। এই মাঠ আমাকে জীবনে অনেক কিছু দিয়েছে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply