গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ইস্যুতে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর দেয়া ভাষণে হতাশ ফিলিস্তিনিদের অনেকে। ভাষণজুড়ে বেশ কয়েকবারই ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান। যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়ের পাশপাশি তেলআবিবকে বয়কটের ডাকও দেন নাসরাল্লাহ। তবে ফিলিস্তিনিদের আশা ছিল, তাদের রক্ষায় আরও বড় কোনো পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে লেবাননের এ গোষ্ঠীটি। খবর আলজাজিরার।
গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহই সবার আগে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু না হলেও এখনও প্রতিদিনই দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত।
শঙ্কা ছিল, গাজায় স্থল অভিযান শুরু হলে ইসরায়েলে সর্বাত্মক হামাল চালাবে হিজবুল্লাহ। স্থল অভিযান শুরুর কয়েকদিন পরই প্রথমবার, জনসমাবেশে ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দেন হাসান নাসরাল্লাহ। ফিলিস্তিনিরা ভেবেছিল, তাদের রক্ষায় বড় কোনো ঘোষণাই দেবেন হিজবুল্লাহ নেতা। বহুল প্রতিক্ষিত এ ভাষণ নিয়ে যুদ্ধ বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা ছিল আন্তর্জাতিক মহলেরও। তবে নাসরাল্লাহর ভাষণ থেকে তেমন বড় কোনো ঘোষণা আসেনি।
পুরোদমে যুদ্ধের শঙ্কা উড়িয়ে না দিলেও গোষ্ঠিটি সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা ছিল না ভাষণে। নাসরাল্লাহর এ অবস্থান ফিলিস্তিনিদের বড় একটি অংশকেই হতাশ করেছে।
ফিলিস্তিনিরা বলছেন, আমরা আশা করেছিলাম, হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিরোধে আরও বেশি এগিয়ে আসবেন। আমরা লেবাননের পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। হিজবুল্লাহর জন্য যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া কতটা জটিল সেটি জানি। আমরা এটাও জানি, আল আকসা ফ্লাডের পর তাদের পঞ্চাশের বেশি যোদ্ধা শহীদ হয়েছে। তবে লেবানন ফ্রন্ট থেকে যে হামলা হচ্ছে তার পরিধি খুবই ছোট।
হিজবুল্লাহ নেতা যদিও বলেছেন, লেবানন ফ্রন্ট গাজা ফ্রন্টকে সহায়তা করবে। তিনি এটাও বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি দেখেই তারা তাদের পদক্ষেপ নেবে। অর্থাৎ চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি তারা। ফিলিস্তিনিদের আশা ছিলো, হিজবুল্লাহর মাধ্যমে তাদের সরাসরি সহায়তায় এগিয়ে আসবে ইরান। হিজবুল্লাহর এই অস্পষ্ট অবস্থানে অবশ্য কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।
এসজেড/
Leave a reply