Site icon Jamuna Television

রাজনৈতিক সহিংসতায় পেশাদার বোমাবাজ: মিলছে পদ-পদবীও

মনিরুল ইসলাম:

মাসুদ ও বাশার, পেশায় ওয়ার্কশপকর্মী। কিন্তু এই পরিচয়ের আড়ালে তারা এখন কাজ করছেন ভিন্ন। তৈরি করেন বোমা। যেকোনো সহিংসতার সময় তাদের কদর বেড়ে যায়। সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে বাশার ও মাসুদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)।

গ্রেফতারের পরই তারা পুলিশকে জানায়, বোমা বানানোর কাজের জন্য তাদেরকে টাকা ও পদের লোভ দেখানো হয়েছে। বোমা বানিয়ে তা মজুদ করা হতো পুরান ঢাকায়, যা নিরাপদ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মাসুদ ও বাশার।

পুলিশের দাবি, যুবদলের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সাইদ হাসান মিন্টুর সরাসরি ছত্রছায়ায় থাকতেন বাশার ও মাসুদ। গত ৩১ অক্টোবর রাস্তায় বোমা ফাটিয়ে পালানোর সময় হাত ভেঙে যায় মিন্টুর। পরে সেও ধরা পড়ে।

কার নির্দেশে বোমা বানানোর প্রক্রিয়া চলতো, সে বিষয়ে সাইদ হাসান মিন্টু বলেন, মহানগর যুবদলের খন্দকার এনাম, রবিউল ইসলাম নয়ন, গাফফারের নির্দেশে করা হয়। যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুও এই কাজ করতে বলেন। উনারা যেহেতু জানে, আমি অতীতে পিকেটিং করেছিলাম, তাই আমার ওপর এ কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে। আমিও কথা রাখতে গিয়ে গত ১৬ তারিখে বাশারকে ফোন দিই… বাশার থাকে বরিশালে।

পুলিশ বলছে, বোমা বা ককটেল বানায় যারা, একসময় এরা রাজনৈতিক দলের কেউ ছিল না। শুধু অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতেই এদের কমিটিতে পদ-পদবী দেয়া হয়েছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন উপকরণ কিনে বোমা বানিয়ে তা যুবদল ও ছাত্রদলের মাধমে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিছু বখাটে ও মাদকাসক্ত লোকদের টাকা ও দলীয় পদ-পদবী দিয়ে এসব বোমা বানায়।

পুলিশ এ-ও জানায়, এরা ছোট ছোট বাসা-বাড়ির মধ্যে বোমা বানায়। তাই দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকে যেকোনো সময়।

/এমএন

Exit mobile version