মাসখানেক হলো নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার ইশ সৌধির বিরুদ্ধে ‘মানকাড’ আউট তুলে নেয়ায় প্রসংশায় ভেসেছিল টাইগাররা। এক মাস হতে না হতেই মুদ্রার উল্টোপিঠও দেখে নিল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পাবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আইসিসির বৈধ ‘টাইমড আউটে’ বিভক্ত এখন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
এবার হুমকি এলো অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের পরিবার থেকে। সাকিবকে পাথর মারার হুমকি দিয়েছেন স্বয়ং ম্যাথুসের ভাই ট্রেভিন ম্যাথুস। তিনি শ্রীলঙ্কার ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছেন।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা খুবই হতাশ। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে সাকিব কোনো মানবতা দেখাননি। বাংলাদেশ অধিনায়কের কোনো ‘স্পোর্টসম্যান স্পিরিট’ নেই। আমরা কখনই তার থেকে অথবা দলের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে এমনটা আশা করিনি।
সাকিবকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বা এলপিএল ম্যাচ খেলতে সাকিব যদি শ্রীলঙ্কায় আসে, তাকে স্বাগত জানানো হবে না। উল্টো তার দিকে পাথর ছুড়ে মারা হবে অথবা তিনি ভক্তদের অসন্তোষের মুখে পড়বেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ‘টাইমড আউট’ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস
সবশেষ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কোনো বল খেলার আগেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। হয়েছিলেন ‘টাইমড আউট’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিরল এই আউটের শিকার হয়ে প্রথম ব্যাটার হিসেবে রেকর্ডবুকে নিজের নামও লেখান তিনি।
ইনিংসের ২৫তম ওভারে সামারাবিক্রমার আউটের পর একটি পুরনো হেলমেট নিয়ে মাঠে নামেন ম্যাথুস। তিনি যে হেলমেট নিয়ে নেমেছিলেন, তাতে পুরো নিরাপদ বোধ করেননি। তাই পরে আরেকটি হেলমেট আনা হয়। কিন্তু সেটিও উপযুক্ত মনে করেননি ম্যাথুস।
আরও পড়ুন: ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’: কী বলছেন সাবেক ক্রিকেটার-আম্পায়াররা
নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটারকে ৩ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথুস এই সময়ে প্রস্তুত হতে পারেননি। তাই বাংলাদেশ অধিনায়কের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে টাইমড আউট হতে হয়েছে।
যদিও এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে এই সময় ২ মিনিট। অবশ্য ম্যাথুস অতিক্রম করে গেছেন দু’টি নিয়মই।
আরও পড়ুন: টাইমড আউট, ক্রিকেটীয় চেতনা ও আইনের গল্প
এই আউটের পর বেশ হতাশ ও বিরক্ত দেখা যায় ম্যাথুসকে। মাঠ থেকে ফেরার পথে ড্রেসিংরুমের সামনে গিয়ে হেলমেট ছুড়ে মারেন তিনি।
/এমএইচ
Leave a reply