দুইশোর আগেই শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিলো নিউজিল্যান্ড

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১৭১ রানে অল আউট করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল স্যান্টনারের ও লকি ফার্গুসনের বোলিং তোপে অসহায় হয়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইন আপ। কুশল পেরেরা ফিফটি করলেও বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে ২০ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১৭২ রান। সেমিফাইনালে যেতে জয়ের বিকল্প নেই কিউইদের সামনে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ রানে পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় লঙ্কানরা। টিম সাউদির গুড লেন্থের বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক টম লাথামের হাতে ধরা পড়লে ২ রানে ফেরেন এই ওপেনার। নিশাঙ্কা ফিরলেও ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন কুশল পেরেরা। একের পর এক বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন লঙ্কান এই ড্যাশিং ওপেনার।

একপ্রান্তে কুশল পেরেরা তাণ্ডব চালালেও অন্যপ্রান্তে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে লঙ্কানদের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেন বোল্ট। কুশল মেন্ডিসকে ৬ ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরান ১ রানে। অন্যপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন পেরেরা। সেই সাথে চলতি বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির মালিকও নিজের করে নেন লঙ্কান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে নবম ওভারে এসে আসালাঙ্কাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফের লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন বোল্ট। আর পাওয়ারপ্লে’র শেষ ওভারে লকি ফার্গুসনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে সাজঘরে ফেরেন পেরেরা। ২৮ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রান করেন এই ওপেনার। ফলে মাত্র ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কানরা।

সেখান থেকে দলকে টানেন আঞ্জোলা ম্যাথুস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। ম্যাথুসকে ১৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন স্যান্টনার। এরপর ১৯ রানে ধনাঞ্জয়া দি সিলভাকেও শিকার করেন স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে। এক রানে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে হারিয়ে ১০৫ রানেই সাত উইকেটে খুইয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। একাদশে ফেরা চামিকা করুনারত্নেও এক অঙ্কে ফিরে যান।

শ্রীলঙ্কার অলআউট হওয়াটা খুব নিকটেই ছিল। রাচিন রবিন্দ্র এসে চামিরার উইকেট নিতে পারলেও অন্যপাশে মাহেশ থিকশানা গেড়ে বসেন। একের পর এক ওভার যায়, থিকশানাকে টলাতে পারেনা কিউইরা। শেষমেশ একপাশে অপরাজিতই থেকেছেন ৯১ বলে ৩ চারে ৩৮ রান করে। শেষ উইকেটে দিলশান মাদুশাঙ্কা এসে ৪৮ বলে ১৯ রান করে যোগ্য সঙ্গ দিলে তারা জুটি গড়েন ৪৩ রানের। দশম উইকেটের সে জুটিতে শ্রীলঙ্কার ইনিংস তারা টেনে নিয়ে যান ৪৬.৪ ওভারে। যাতে লঙ্কানদের লড়াইয়ের রসদ একটু হলেও বাড়ে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply