হিমালয়ের দুর্গম ‘ফার্চামো’য় উড়লো লাল-সবুজের পতাকা

|

হিমালয়ের ২০ হাজার ৩০০ ফুট উঁচু দুর্গম চূড়া ‘ফার্চামো’য় সফলভাবে আরোহণ করেছেন বাংলাদেশের দুই অভিযাত্রী। গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তারা সেখানে পৌঁছান। এরপর সেখানে উড়ানো হয় লাল-সবুজের পতাকা। এভারেস্ট জয়ী অভিযাত্রী এম এ মুহিত এবং তার সঙ্গী কাজী বিপ্লবের হাত ধরেই ফার্চামোয় ওড়ে বাংলাদেশের পতাকা। তবে অসুস্থতার কারণে দলের আরেক সদস্য নুরুননাহার নিম্নিকে ফার্চামো আরোহণের আগেই ফিরতে হয়েছে।

অভিযানের বর্ণনা দিয়ে এম এ মুহিত জানান, ২৬ অক্টোবর তারা এভারেস্ট অঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত হিলারি তেনজিং এয়ারপোর্টে পৌঁছান। ওইদিন তারা ট্রাকিং শুরু করেন। বিকেলেই পৌঁছান মঞ্জো’তে। পরদিন যান নামচে বাজার। একদিন বিশ্রাম নিয়ে ২৯ অক্টোবর তার ‘থামে’ যান। এরপর আবার একদিন বিশ্রাম নিয়ে পরদিন ৩১ অক্টোবর পৌঁছান থ্যাংবো’তে। আর ১লা নভেম্বর ৪ হাজার ৮০০ মিটার উচুঁ বেসক্যাম্পে পৌঁছান তারা। পরদিন ৫ হাজার ৭০০ মিটার উচু তাশি ফুক হাই ক্যাম্পে যান। তবে সেখানে পৌঁছানোর ১০০ মিটার নিচে থাকতেই দলের সদস্য নিম্নি শরীর খারাপ লাগা শুরু হয়। তাই তিনি ফিরে যান।

তিনি আরও জানান, ৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় টর্চের আলোয় তারা চূড়ার উদ্দেশে রওনা হন। প্রায় আধাঘণ্টা পরে ক্র্যাম্পন পয়েন্টে পৌঁছায় অভিযাত্রী দলটি। সেসময় তেমন বাতাস ছিল না। ‘মেইন রোপে’ তারা দেড়ঘণ্টা থাকেন। তাশি লাপচা পাসকে ডানে তারা এগিয়ে চলতে থাকেন। এ সময় তাদেরকে তিনটি কঠিন জায়গা পার হতে হয়। এই জায়গাগুলোতে ১০০ মিটার দড়ি লাগানো ছিল। জায়গাগুলো ৮০ থেকে ৯০ ডিগ্রি খাড়া। ৬টার সময় তারা জুমার শুরু করেন। যেটি শেষ হয় সকাল ৯টার দিকে সামিটে পৌঁছে। এরপর তারা সেখানে উড়ান বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা।

মুহিত বলেন, পা রাখার আগেই প্রচন্ড বাতাস শুরু হয়েছিল। চূড়ায় আমরা ১৫ মিনিট মতো ছিলাম। মনে হচ্ছিলো সব জমে যাচ্ছে। হাইক্যাম্পে আসতে আসতে পৌনে ১১টা বাজে। ওইদিনই বেসক্যাম্প হয়ে বিকেলে থ্যাংবো চলে আসি।

এর আগে, বাংলাদেশের পর্বতারোহী দলটি ২৪ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। ‘ফার্চামো’ পর্বত শিখরটি এভারেস্টের দক্ষিণ-পশ্চিমে নেপালের রোলওয়ালিং হিমালয় অঞ্চলে অবস্থিত।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply