টমেটো দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল। ছবি: সংগৃহীত।
আহাদুল ইসলাম
মাছ খেতে বেশিরভাগই মানুষই পছন্দ করে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায়, বাঙালির নানা ধরনের মাছ খাওয়ার চল বহুকাল আগে থেকেই। তবে অনেকেরই জানা নেই, কী জাতীয় উপাদান থাকে মাছে।
যেমন ট্যাংরা মাছের কথাই ধরা যাক। এই মাছ এত পরিচিত, অথচ অনেকেরই জানা নেই, এতে কোন কোন উপাদান রয়েছে।
ট্যাংরা মাছের মধ্যে যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, তা মস্তিষ্কের বিকাশে অত্যন্ত কার্যকরী। এই উপাদান ব্রেনের কোষ সতেজ রাখে এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়। তাই শিশুদের এই মাছ খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
ট্যাংরা মাছ খেলে হার্ট ভালো থাকে। কারণ এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। মুরগি বা খাসির মাংসে যে ধরণের প্রোটিন থাকে, তার চেয়ে অনেক আলাদা প্রোটিন এ মাছে থাকে। যে কোলেস্টেরলের ভয়ে আপনি ভীত থাকেন, মাছ খেলে সেটা কিন্তু অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এতে যে ফ্যাট থাকে সেটা সহজে শরীরে দ্রবীভূত হয়ে যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম ট্যাংরা মাছে থাকে ১০৬ ক্যালোরির শক্তি। ১৯.২ গ্রাম থাকে প্রোটিন, চর্বি থাকে ৬.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম থাকে ২৭০ মিলিগ্রাম।
ট্যাংরা মাছ খেলে শরীরে কোলাজেন বৃদ্ধি পায়। যেহেতু কোলাজেন ত্বক এবং চুল দুটোর জন্যই ভালো; সেহেতু মাছ খেলে এ দুটোই ভালো থাকে। মাছের এই গুণ আছে যে তা সেল মেম্ব্রেনের মধ্যে তরল ভাব বজায় রাখে।
যাদের চোখে সমস্যা হয়, চিকিৎসকরা তাদের এই মাছ খেতে বলেন। বিশেষ করে মাছের চামড়া বা তেল তাদের পক্ষে খুবই ভালো। এই মাছের পুষ্টি উপাদান চোখ ভালো রাখে, রেটিনা সুস্থ্য রাখে এবং ড্রাই আইজ বা চোখের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।
ট্যাংরা মাছে এমন অনেক উপাদান আছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন মাছ খেলে আর্থারাইটিস ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না।
Leave a reply