জয় দিয়েই গ্রুপ পর্ব শেষ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা

|

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপে নিজেদের নবম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা প্রোটিয়াদের জন্য ম্যাচটি ছিল নিয়মরক্ষার। আগে ব্যাট করতে নেমে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অপরাজিত ৯৭ রানের ওপর ভর কর করে ২৪৪ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রুসে ভ্যান ডার ডুসেনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ১৫ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় তুলে নেয় টেম্বা ভাবুমার দল।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের দেয়া ২৪৫ রানের মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা ভাবুমা। বাভুমা আউট হন ২৩ রান করে। এরপর ডি কক আউট হন ৪১ করে।

ফলে কিছুটা চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মার্করাম ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ১০ করে ফিরে যান মারকুটে ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেন। ফলে প্রোটিয়াদের জয় নিয়ে জাগে শঙ্কা। কিন্তু পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৪১ রান যোগ করে চাপ সামাল দেন ডুসেন। ফলে জয়ের পথ কিছুটা সুগম হয়।

মিলার ২৪ করে ফিরে গেলে ফেলুকোয়োকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের জয় এনে দিয়েছেন ডাসেন। এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৯৫ বলে ৭৬ রান করে। আর ফেলুকায়ো ৩৭ বলে ৩৯ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি। একটি উইকেট যায় মুজিব উর রহমানের ঝুলিতে।

এর আগে,

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেন দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪১ রান। ইনিংসের ৯ম ওভারের প্রথম বলে কেশভ মহারাজের করা বলে গুরবাজের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার হেনরিখ ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে এই জুটি। ২২ বলে ৩ চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ রান করেন গুরবাজ।

গুরবাজের বিদায়ের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে তারা।। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারায় আফগানরা। জেরাল্ড কোয়েৎজের বলে ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ আউট হয়ে ইব্রাহীম সাজঘরে ফেরেন ৩০ বলে ১৫ রান করে। ফর্মে থাকা শহিদিও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মহারাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ২ রান করে। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে আজমত ও রহমত শাহ মিলে যোগ করেন ৪৫ রান। রহমত ফিরেছেন ৪৬ বলে ২৬ রান করে। এরপর ইকরাম আলী খিল বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১২ রান। ২ রান করে আউট হয়েছেন মোহাম্মদ নবি। ১১৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। 

এরপর ৭ম উইকেটে রশিদ খানকে সঙ্গী করে চাপ সামাল দেন আজমত। দু’জনে মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। রশিদ ভালো শুরু পেলেও ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। ১৬০ রানে ৭ উইকেট খোয়ালে ২০০ রানে থেমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল ব্যতিক্রম ছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নুর আহমেদকে সঙ্গী করে অষ্টম উইকেটে ফের লড়াই চালান এই অলরাউন্ডার। অষ্টম উইকেট জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। ৩২ বল ২৬ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন নূর।

মুজিব আউট হন ৮ রান করে। তবে আজমতের দৃঢ়তায় শেষ বল পর্যন্ত লড়ে যায় আফগানিস্তান। ৫০ ওভারের শেষ বলে নাভিন রান আউট হলে ২৪৪ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। ১০৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন আজমত। আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন জেরাল্ড কোয়েৎজে। ২টি করে উইকেট পান লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ। একটি উইকেট গেছে আন্দিলে ফেহলুকায়োর ঝুলিতে।

 /আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply