বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে টাইগাররা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ফলে অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হলে করতে হবে ৩০৭ রান।
এর আগে শনিবার (১১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ফলে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে লিটন-তামিমরা।
শুরুতে দেখেশুনেই খেলতে থাকে দুই ওপেনার লিটন ও তানজিদ তামিম। অজিদেরকে পাওয়ারপ্লে’তে কোনো উইকেট উপহার না দিয়ে ১০ ওভারে ৬২ রান তুলে নেয় তারা।
তবে বিপত্তি ঘটে ইনিংসের ১২তম ওভারে। শন অ্যাবটের শর্ট বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ। ফলে ৩৪ বলে ৩৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এই রান করতে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬টি চারের মার।
ইনিংস লম্বা করতে পারেননি আরেক ওপেনার লিটন দাসও। অ্যাডাম জাম্পার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫ চারের সহায়তায় ৪৫ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।
ভালোই এগুচ্ছিলেন শান্ত ও হৃদয়। তবে তাদের ৬৩ রানের জুটিতে আঘাত হানে রান আউট। শন অ্যাবটের বলে এগিয়ে এসে স্কয়ার লেগে পুল খেলেন শান্ত। সেখানে ফিল্ডিংয়ে ছিলেন লাবুশানে। এক রান নিতে পারলেও দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। লাবুশেনের থ্রো’তে নিজ প্রান্তের উইকেট ভেঙে দেন উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। ৬ চারের মাধ্যমে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন টাইগার অধিনায়ক।
ইনিংসের ৩৬ তম ওভারে আবারও টাইগার শিবিরে হানা দেয় রান আউট। স্ট্রাইকে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। জশ হ্যাজলউডের বলটি কাভারে ঠেলেই রানের সিগন্যাল দেন তিনি। অপরপ্রান্তে থাকা মাহমুদউল্লাহও তার ডাকে সাড়া দিয়ে দৌড় দেন। তবে বল চলে গিয়েছিল আবারও লাবুশেনের হাতে। বাতাসে উড়ে ডিরেক্ট থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন তিনি। আউট হয়ে যান রিয়াদ।
এরই মাধ্যমে হয়তো বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ। যদি তাই হয়, তাহলে ৩ ছক্কা ও ১ চারের মাধ্যমে ২৮ বলে ৩২ রানেই শেষ হলো মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ।
রিয়াদের আউটের পরে মাঠে নামা মুশফিকুর রহিমও ইনিংস বড় করত পারেননি। ২৪ বলে ২১ রান করে জাম্পার বলে অধিনায়ক কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। হয়তো তিনিও তার ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের ব্যাটিং করে ফেললেন।
ব্যাটারদের আসা-যাওয়ায় ঠিকই ক্রিজে টিকে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ইনিংসের ৪৭তম ওভারে মাকার্স স্টয়নিসের শিকার হন তিনি। ফুলটস বলে ঠিকমতো টাইমিং করতে না পারায় মিড উইকেটে দাঁড়ানো লাবুশেনের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। ২ ছক্কা ও ৪ চারের মাধ্যমে ৭৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন তিনি।
তবে ইনিংসের শেষ ওভারে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারের প্রথম বলে অ্যাবটের বলে কামিন্সের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ৪টি চারের মাধ্যমে ২০ বলে ২৯ রান করেন তিনি। একই ওভারের তৃতীয় বলে আবারও রান আউটের ফাঁদে পড়ে আউট হন নাসুম। তিনি করেন ১১ বলে ৭ রান। ৩ বলে ২ রান ও ১ বলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন শেখ মেহেদী ও তাসকিন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন শন অ্যাবট ও অ্যাডাম জাম্পা। একটি উইকেট পেয়েছেন মাকার্স স্টয়নিস। বাকি তিনটি রান আউট।
/এমএইচ
Leave a reply