টাইমড আউট বিতর্কের রেশ এখনও কাটেনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউট হয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। তবে আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি লঙ্কান তারকা। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিয়োকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করে আম্পায়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লঙ্কান এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ঘটনার পাঁচ দিন পর এই বিষয়ে এবার বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়ন সংস্থা- এমসিসি (মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব)।
ঘটনা গত সোমবার দিল্লির আরুন জেটলি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। সাদিরা সামারাবিক্রমা আউট হয়ে গেলে ক্রিজে আসেন ম্যাথুস। কিন্তু হেলমেটের ফিতা ঠিক না থাকায় ব্যাটিংয়ে নামতে দেরি করছিলেন তিনি। পরে অন্য একটি হেলমেট নিয়ে আসলেও সেটিও তার কাছে খেলায় ব্যবহারে উপযোগী মনে না হওয়ায় সময়ক্ষেপণ করছিলেন। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আউটের আবেদন জানান। আর এতে নিয়ম অনুযায়ী আউট দেন আম্পায়াররা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় নানান আলোচনা-সমালোচনা। সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই দাবি বিষয়টি ‘ক্রিকেটীয় স্পিরিট’ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে সাকিবের ওপর তোপ দাগতেও ভুল করেননি সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা।
ম্যাথুসের আউটের সার্বিক দিক ব্যাখ্যা করেছে এমসিসি। যেখানে বলা হয়, (টাইমড আউটের) নিয়মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো, নতুন ব্যাটারকে আগের আউটের দুই মিনিটের মধ্যে প্রথম বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। মাঠে ঢোকা বা উইকেটে থাকাও টাইমড আউট এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রথম বল খেলার অবস্থায় থাকতে হবে ব্যাটারকে। আম্পায়ারদের মনে হয়েছে, দুই মিনিট সময়ের মধ্যে প্রথম বল মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ম্যাথুস। এরপর তার হেলমেটেও সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে আরও সময় নষ্ট হয়।
এক্ষেত্রে নতুন হেলমেট চাওয়ার আগে আম্পায়ারদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত বলে মনে করে এমসিসি। এই প্রসঙ্গে এমসিসি জানায়, ত্রিশ গজের বৃত্তে যেতেই ৯০ সেকেন্ড লেগে যাওয়ায় ম্যাথুস হয়তো বুঝতে পারেন, সময়ের চেয়ে পিছিয়ে আছেন তিনি। তাই বাকি পথ কিছুটা দৌড়েই যান তিনি। আগের উইকেট পড়ার ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মাথায় তার হেলমেটের সমস্যা দেখা দেয়। ওই মুহূর্তে তিনি গার্ড নেননি এবং বল খেলার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না। যখন হেলমেটে সমস্যা হলো, তখন আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেননি ম্যাথুস। সাধারণত নতুন সরঞ্জাম আনার ক্ষেত্রে তা করতে হয়। কিন্তু তিনি নতুন হেলমেটের জন্য সরাসরি ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা করেন। তিনি যদি আম্পায়ারকে বলতেন কী হয়েছে এবং সময় চাইতেন, তাহলে তারা (আম্পায়ার) হয়তো টাইমড আউটের বিষয়টি এড়িয়ে হেলমেট পরিবর্তনের জন্য সময় দিতেন।
/আরআইএম
Leave a reply