মাত্র ২ ম্যাচের পারফর্মেন্সে নতুনদের উপর আস্থা হারানো সহজভাবে নেননি অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা আর সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেরা পারফর্মেন্স পেতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধাতস্থ হতে তরুণদের আরও সময় দেয়ার পক্ষে এই ২ সিনিয়র ক্রিকেটার। স্বভাবতই হুট করে ইমরুল-সৌম্য’র অন্তর্ভুক্তি বাঁকা চোখে দেখছেন মাশরাফী আর সাকিব।
মাশরাফীর মতে, বেশ কিছুদিন ধরেই ধারাবাহিক না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সমস্যাটা যে শুধু এই এশিয়া কাপেরই নয়, আরও পুরোনো, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই মিডল অর্ডারকে খেলা বানাতে হচ্ছে। আমি তখনো বলেছি, সব সময় তো আর মিডল অর্ডার পারবে না।
জানালেন সৌম্য-ইমরুলের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও তিনি জানতেন না, ওরা যে আসছে, আমি সিওর না। আমি মাঠে ছিলাম। তাই পুরোপুরি ক্লিয়ার না। আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি।
সৌম্য ও ইমরুল দুজনেরই সর্বশেষ ওয়ানডে গত বছর অক্টোবরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইস্ট লন্ডনে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে তারা দুজনই শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের ইনিংস। ব্যর্থও হয়েছিলেন। ইমরুল করেছিলেন ১, সৌম্য ৮। হঠাৎই তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জেগেছে প্রশ্ন।
উত্তর দেবেন কি, অধিনায়কের মনেও যে একই প্রশ্ন। বললেন, ওরাও কিন্তু এমন পারফর্ম না করেই দল থেকে বের হয়েছে। আবার এসে এই ধরনের টুর্নামেন্টে এত চাপ নিয়ে, আমি জানি না ওরা টেকনিক্যালি কী কাজ করেছে। যে সমস্যার কারণে দলের বাইরে গিয়েছিল, সেগুলো ঠিক করে আসছে কিনা। এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আফগানিস্তানের ম্যাচ যদি চিন্তা করেন, আমার মনে হয় তাদের আরও কঠিন বোলার মোকাবিলা করতে হবে।
হঠাৎ করে দলে নতুন দুই ক্রিকেটারকে ডাক দেয়ায় খুশি নন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। বলেছেন, এটা একটু অস্বাভাবিক। এমন সাধারণত হয় না। তবে দলের প্রয়োজনে বা যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
তরুণদের সময় দেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ওদের ওপর অল্প সময়ে এত চাপ দিয়ে ফেলি যে ভালো করার সম্ভাবনা কমে যায়। যাদের কথা বলছেন অর্থাৎ আমরা চার-পাঁচজন (মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমদুউল্লাহ) আমরা কিন্তু কেউ বীর-পালোয়ান ছিলাম না! গত দুই-তিন-চার বছরের পারফরম্যান্স দেখছেন। এর আগে ছয়-সাত-আট বছর আমরাই-বা কত ভালো ক্রিকেট খেলেছি? একটা পরিস্থিতিতে পড়তে পড়তে যখন শিখবে, তখন তারা ভালো করবে। আমরা হয়তো তাদের ওই সুযোগটা দিতে পারছি না। এতে ওদের ভালো করা কঠিন।
তবে কারণ যাই হোক- দলে ইমরুল, লিটন, শান্ত, সৌম্য যেই খেলুক না কেন সব ভুলে এখন সেরাটা দেয়ার জন্য ক্রিকেটারদের আহবান যানাচ্ছেন মাশরাফী-সাকিব। লক্ষ্য একটাই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় তুলে এশিয়া কাপের তৃতীয় ফাইনাল নিশ্চিত করা। দু’জনেই মনে করেন সে সম্ভাবনা এখনও ভালোভাবেই আছে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply