‘খিরির গাছ’ থেকে ‘বৃক্ষমানিক’, কৌতূহলের শেষ নেই এলাকাবাসীর

|

নাটোরের সিংড়ার চলনবিল অধ্যুষিত গ্রাম দুলশী। গ্রামটির প্রবেশমুখেই রয়েছে প্রাচীন অচেনা এক বৃক্ষ। গাছটির সঠিক নাম, জাত অথবা বয়স জানেন না এলাকার কেউই। তবে গবেষকদের মতে, এটি বিরল সফেদা জাতের বৃক্ষ।

জ্যৈষ্ঠতে ফল ধরে গাছটিতে। দেখতে আঙ্গুরের মতো এই ফলের স্বাদ ক্ষীরের মতো হওয়ায় স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন ‘খিরির গাছ’। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। শেকড় ছড়িয়েছে আশপাশে। চওড়ায় ১৫০ বর্গফুটের মতো।

নাম না জানা প্রাচীন এই গাছকে ঘিরে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। রয়েছে নানা কল্পকাহিনীও। গাছটিকে একনজর দেখতে ছুটে আসছেন দূরদূরান্তের অনেকে। তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গাছটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বৃক্ষমানিক’। স্থাপিত হয়েছে নামফলকও।

এ বিষয়ে ভয়লেট হায়দার নামের এক বৃক্ষ গবেষক বলেন, গাছটিতে প্রচুর ফল ধরে। কিন্তু বিরল প্রজাতির হওয়ায় ফল মাটিতে পড়লেও নতুন গাছ জন্ম নেয় না।

গাছটির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষনের বিষয়ে নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, এ ব্যাপারে পরিবেশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলবেন তিনি। তাদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্প তৈরীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের জানান, গাছের প্রজাতির নাম এখনও জানা যায়নি। তবে প্রজাতির নাম জানা থাকলে গাছটির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষনের ব্যাপারে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। গাছটির সঠিক পরিচর্যা করলে এটিকে ঘিরে একটি পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা সম্ভব বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।

/এএস /এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply