স্বামীকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোণা:

নেত্রকোণায় স্বামীকে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ নভেম্বর) রাতে জেলার মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়নের বারোরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অগ্নিদগ্ধ ওই ব্যক্তি হলেন, কেন্দুয়া থানার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাছহার গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে এখলাছ উদ্দিন (৩৫)। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মুক্তা আক্তার মদন উপজেলার খায়রুল মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে মুক্তার সঙ্গে বিয়ে হয় এখলাছের। বিয়ের কিছুদিন পর এখলাছ মালেয়েশিয়া যান। পরে সেখান থেকে চলে যান সৌদি আরব। বিদেশ থেকে সব টাকা স্ত্রীর কাছেই পাঠাতেন তিনি। চার বছর পর এখলাছ বাড়ি এসে স্ত্রীর কাছে টাকা পয়সার হিসেব চান। এতে শুরু হয় পারিবারিক কলহ।

মুক্তা তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন। রোববার এখলাছকে ফোন করে ডাকেন মুক্তা। স্ত্রীর ফোন পেয়ে তিনি শ্বশুড় বাড়ি যান। সেখানে রাতে দু’জন একসাথেই ঘুমান। ভোররাতে ঘুমন্ত এখলাছের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার স্ত্রী মুক্তা। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন উদ্ধার করে। খবর পেয়ে এখলাছের পরিবারের লোকজন তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

অগ্নিদগ্ধ এখলাছের ভাগ্নে মুসলেম উদ্দিন জানান,তার শরীরের নব্বই ভাগ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুক্তা আক্তার ও তার বাবা খায়রুল মিয়ার মোবাইলে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, অগ্নিদগ্ধ এখলাছের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছিলো। ঘটনাটি মদনে হওয়ায় সেখানে মামলা করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply