তৌহিদ হোসেন:
প্রকল্প তদারকিতে ইলেকট্রনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ই-পিএমআইএস) চালু করেছে সরকার। বলা হয়, এই ওয়েবসাইটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতাভুক্ত সব প্রকল্পের তথ্য মিলবে। এর ব্যবহারকারীরা মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা বছরভিত্তিক তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে খুঁজে বের করতে পারবেন।
কিন্তু ওয়েবসাইটে এখনও সব তথ্য মিলছে না। শেষ হওয়া একাধিক কর্মসূচির হালনাগাদ তথ্য নেই তাতে। প্রকল্পে ব্যবহৃত গাড়ি, আসবাবসহ বিভিন্ন অনুষঙ্গের রিয়েল টাইম তথ্যও নেই। অথচ প্রকল্পের জবাবদিহিতা বাড়াতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এটি কার্যকর ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে।
গত আগস্ট পর্যন্ত এই সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে মাত্র ১০টি মন্ত্রণালয় ও ৫৭টি সংস্থা। এর মধ্যে সরকারি কেনাকাটার ই-জিপি ও কেন্দ্রীয় অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম আইবাস উল্লেখযোগ্য। চলমান প্রকল্পের সংখ্যা ১৩শ’র বেশি হলেও সিস্টেমে প্রকল্প পরিচালক যুক্ত আছেন ৫৩৯ জন। এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ১ হাজার ৪৪২ ব্যবহারকারী ও ৮৪৮ জন ব্যবস্থাপক। তাহলে বাকিদের কী হবে?
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে এই পদ্ধতিটা খুব সহায়ক হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কোন পর্যায়ে আছে এবং কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য এই সিস্টেমটা ডিজিটাল অগ্রগতির একটা ধাপ।
উন্নয়ন প্রকল্প তদারকিতে ৭ কোটি টাকা খরচ করে পিএমআইএস সফটওয়্যার কেনা হয় ৮ বছর আগে। কিন্তু আসবাব, জ্বালানি, গাড়ির ডাটাবেইজসহ নানা তথ্য সংকলন করতে না পারায় পরে ই-পিএমআইএস সফটওয়্যার চালু করে বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ বিভাগ। খরচ হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। কিন্তু এই সিস্টেমে তথ্য দিতে অনীহা আছে অনেক কর্মকর্তার।
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, মোট খরচের কতটা কোন ক্ষেত্রে ব্যয় হয়েছে এই তথ্য-উপাত্তগুলো এখানে থাকা দরকার। বিশেষ করে আমাদের দেশে এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, প্রকল্প ব্যয়ের ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে। এইটা তো রোধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ই-পিএমআইএসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণায় এখনও কাজ করছে পরিকল্পনা বিভাগ।
/এমএন
Leave a reply