মিয়ানমারের সামরিক জান্তার এক ক্যাম্পে হামলা চালায় কারেন বিদ্রোহীরা। দীর্ঘ সময় ধরে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে তুমুল লড়াই চলে বিদ্রোহীদের। এক পর্যায়ে আত্মসম্পর্ণে বাধ্য হয় জান্তা সদস্যরা। তাদের আটক করে বিদ্রোহীরা। খবর রয়টার্সের।
গত অক্টোবরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর এতো বড় প্রতিরোধের মুখে আগে পড়েনি সামরিক জান্তা। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ৯টি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এসব শহরে কয়েক দশক ধরে সেনা ব্যাটালিয়ন মোতায়েন ছিল। এখন পর্যন্ত শান রাজ্যে পাঁচটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে জান্তা। এছাড়া, সাগিয়াং অঞ্চলে দুটি ও চিন রাজ্যে তিনটি শহর এখন বিদ্রোহীদের দখলে।
ইউএসআইপির জেসন টাওয়ার বলেন, এটা পরিষ্কার যে, পরিস্থিতি সব মিলিয়ে সামরিক জান্তার অনুকূলে নেই। এরইমধ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে। আমার মনে হয়, এই ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ সংকটে পড়তে পারে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
উত্তর মিয়ানমারের শান এবং সাগিয়াং প্রদেশে সাফল্যের পরে পশ্চিমের চিন এবং রাখাইন প্রদেশেও হামলা শুরু করেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে পশ্চিম মায়ানমারে সক্রিয় দুই বিদ্রোহী বাহিনী সিএনএ, সিডিএফ, কেএলডিএফ ও পিডিএফ। মূলত চীন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতেই চলছে লড়াই। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছে বেইজিং।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, মিয়ানমারে যে সহিংসতা চলছে, তাতে উদ্বিগ্ন বেইজিং। আমরা আশা করছি, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করবে বিবদমান পক্ষগুলো। চীন সংলগ্ন সীমান্তে এ ধরনের সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জেসন টাওয়ার বলেন, যেসব এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে বিদ্রোহীরা, তার বেশিরভাগই চীন সীমান্ত সংলগ্ন। ফলে চীনের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্যে বড় ধরণের ধাক্কা লেগেছে। এটা সামরিক জান্তার জন্য অনেক বড় ক্ষতি।
এদিকে, সহিংসতায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাস্তচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
/এএম
Leave a reply