বিশ্বকাপ রাঙিয়ে ওয়ানডে’কে ডি ককের বিদায়

|

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কাছে সেমিফাইনালে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ অভিযান শেষ। সেইসাথে শেষ হল সময়ের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটার কুইন্টন ডি-ককের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। টুর্নামেন্টের আগেই ডি কক ঘোষণা করেছিলেন এই বিশ্বকাপের পর আর ওয়ানডে ফরম্যাটে দেখা যাবেনা তাকে। তবে জাতীয় দলের ওয়ানডে জার্সিটা তুলে রাখার আগে চার সেঞ্চুরিসহ ৫৯৪ রান করে রাঙিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের মঞ্চ, আক্ষেপ বাড়ালেন প্রোটিয়া ভক্তদের।

শুধু ব্যাট হাতেই নয়, এবারের আসরে সবচেয়ে সফল উইকেটকিপার হিসেবে ২০টি ডিসমিসাল করেন ডি কক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে এক আসরে ৫০০ রান ও ২০ ডিসমিসালের ডাবল রেকর্ড গড়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও এম এস ধোনিকে ছাপিয়ে যান ডি কক।

কুইন্টন ডি ককের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলেছেন ১৫৫টি। ৪৫.৭৪ গড়ে ৯৬.৬৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৬৭৭০।
সেঞ্চুরি করেছেন ২১টি, ফিফটি ৩০টি ক্যাচ ধরেছেন ২০৯টি স্ট্যাম্পিং করেছেন ১৭টি। সর্বোচ্চ ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ টি, ইংল্যান্ড ও অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন ৩টি করে সেঞ্চুরি। এরমধ্যে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের এক সিরিজে তিনটিতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন ডি কক!

১৫৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৯৬ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়ে পেয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। জয়ী ম্যাচে তার গড় ৫৩.৫৩, স্ট্রাইক রেট ১০০+। তার ক্যারিয়ারের ২১ সেঞ্চুরির মধ্যে ১৮ টি সেঞ্চুরিতেই দল জয় পেয়েছে। পরিসংখ্যানই বলে দেয় কতোটা ইম্প্যাক্টফুল ছিলেন কুইন্টন ডি কক।

ব্যাট আর গ্লাভস হাতে আলো ছড়িয়ে ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও দলকে ফাইনালে তুলতে না পারার আক্ষেপটা হয়তো থেকেই যাবে ডি-ককের। তবে অবসরে শখের মাছ ধরা আর গলফ খেলা চালিয়ে যেতে যেতে বাইশ গজে নিজের অর্জনের কথা ভেবে একটা তৃপ্তির হাসি হাসতেই পারেন কুইনি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply