টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার বাদী এশা মির্জার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) তার নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এর আগে, গত ৫ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদী হয়ে এ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন মির্জা তাসনিম আফরোজ এশা। তার অভিযোগ ছিল, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনি গত বছর ১৭ ডিসেম্বর তাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে গত ২৯ মার্চ তার (বড় মনি) শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে মারপিট করা হয় এবং বড় মনি তাকে আবার ধর্ষণ করেন। মামলায় বড় মনির স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।
ওই তরুণী অভিযোগ করেন, বড় মনি মূলত তার সম্পত্তির সমস্যা সমাধান করে দেবে বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং বিভিন্ন রকমের ছবি তোলে। এ সময় ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এরপর সেই ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে বড় মনি আরও কয়েকবার তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। পরে ওই শিশুটির ডিএনএ টেস্ট করা হলে দেখা যায়, শিশুটির সাথে বড় মনিরের ডিএনএ মেলেনি। অর্থাৎ শিশুটির জৈবিক (বায়োলজিক্যাল) পিতা বড় মনির নন। এর ভিত্তিতে গত ৯ অক্টোবর ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের পর শুনানি শেষে বড় মনির জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এসজেড/
Leave a reply