বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন একটাই আলোচনা। আর তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার সেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে ক্রিকেট পাড়া ছাপিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
সাকিবের আগেও ক্রিকেটার থেকে পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হওয়ার ইতিহাস আছে দেশে। সেটা আওয়ামী লীগ থেকেই। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ছিলেন ডানহাতি ব্যাটার আর অফস্পিনার। পরে তিনি নাম লেখান রাজনীতিতে। অংশ নেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ২০১৪ ও ১৮ র নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান।
দুর্জয়ের পর আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতিতে নাম লেখান ক্যাপ্টেন ফ্যানটাসটিক মাশারাফী বিন মোর্ত্তজা। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেয়ার পর একসময় দলের দায়িত্বও কাঁধে তুলে নেন তিনি। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকার হয়ে অংশ নেন মাশরাফী। নড়াইল-২ আসন থেকে জয়ীও হন।
মাশরাফীর মতো বিগত সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন সাকিব, এমন গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে, সে দফায় খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রাজনীতিতে নাম লেখাননি তিনি। তবে, এবার সাকিবভক্তদের প্রত্যাশা, তিনিও পথ ধরবেন তার অগ্রজ দুর্জয় ও মাশরাফীর। নির্বাচিত হবেন সংসদ সদস্য। খেলার মাঠের মতো চমক দেখাবেন রাজনীতির মাঠেও।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বাংলাদেশের এই পোস্টার বয়। ঢাকা-১০ আসন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান সাকিব। সাথে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন নিজ জেলা মাগুরার-১ ও ২ আসন থেকেও।
/আরআইএম
Leave a reply