ফুটবলের অন্যতম পরাশক্তি ফ্রান্স। গত বিশ্বকাপে রানারআপ হয় দলটি। তার আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন। এমবাপ্পে, দেম্বলে, জিরুদরা যেকোনো প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরাতে পারেন। আর প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলে তো কথাই নেই।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ইউরো বাছাইপর্বে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলো র্যাঙ্কিংয়ের ১৯৮ নম্বরে থাকা জিব্রাল্টার। তাদেরকে পেয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মাতেন এমবাপ্পেরা। ‘পুচকে’ জিব্রাল্টার ৫-১০টি নয়, ১৪টি গোল খেয়েছে ফ্রান্সের বিপক্ষে। বিনিময়ে একটি গোলও শোধ করতে পারেনি তারা।
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এটিই ইউরোপের কোনো দলের সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। এর আগে জার্মানি ২০০৬ সালে সান মারিনোর বিপক্ষে ১৩-০ গোলে জিতেছিলো। যেটি এতোদিন ইউরোপের সবচেয়ে বড় জয় ছিল। আর ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ১০-০ ব্যবধানে। ১৯৯৫ সালে আজারবাইজানের বিপক্ষে তারা এই জয় পায়।
রেকর্ড জয়ের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। হ্যাটট্রিক করার পথে ক্যারিয়ারে ৩০০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেন তিনি। এই ম্যাচ শেষে ৪৬ গোল নিয়ে তিনি এখন ফ্রান্সের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার ওপরে রয়েছেন থিয়েরি অঁরি (৫১) ও সতীর্থ অলিভিয়ের জিরু (৫৬)।
ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন কিংসলে কোমান ও অলিভিয়ের জিরু। একবার করে জালে বল পাঠিয়েছেন উসমান দেম্বেলে, মার্কাস থুরাম, আদ্রিয়ান রাবিও, ওয়ারেন জাইরে এমেরি, জোনাথান ক্লাউস ও ইউসুফ ফোফানা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে হওয়া প্রথম গোলটি ছিল জিব্রাল্টারের ‘উপহার’। নিজেদের জালেই বল জড়ান ইথান সান্তোস।
এ ম্যাচ দিয়েই জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে পিএসজি মিডফিল্ডার জাইরে-এমেরির। ১৭ বছর বয়সী এই তরুণই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ফ্রান্সের হয়ে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার।
/এনকে
Leave a reply