ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের সেই সুদিন যেনো আর নেই। দিনদিন ব্যবসার পরিধি কমছে। ডলার সংকট আর এলসি জটিলতায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এমনকি ভোগ্যপণ্য আমদানি এবং দৈনিক লেনদেন অর্ধেকে নেমেছে। সরবরাহ স্বল্পতার প্রভাব পড়ছে পাইকারি এবং খুচরা বাজারেও।
এরই মধ্যে এই জৌলুসহীন খাতুনগঞ্জ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে বড় বড় অনেক গ্রুপ। যারা টিকে আছে তারাও ডলার সংকট, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। তাদের দাবি, ডলার সংকটে খাতুনগঞ্জের ৯০ ভাগ ব্যবসায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিফল অনেকে।
আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতা আহসান উল্লাহ জায়েদী বলেন, আগে এক সময় ব্যাংক থেকেই আমাদের কাছে এসে এলসি খোলার জন্য উৎসাহিত করতেন। তবে এখন ডলার সংকটের কারণে তারাই আমাদের এলসি না খোলার পরামর্শ দিচ্ছেন। এ কারণে বাজারে পণ্যের সংকট হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
ডলার সংকটের সমাধান না হলে নিত্যপণ্য আমদানি শুন্যের কোটায় নেমে আসতে পারে বলে শঙ্কা আমদানিকারকদের। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাজারে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতা সোলাইমান বাদশা বলেন, সামনেই রমজান। ডলারের সংকট নিয়ন্ত্রণে না আসলে আসন্ন রমজান আমাদের ব্যবসায়ী বা ক্রেতা কারোর জন্যই শুভকর হবে না।
একদিকে এই সংকট, তার উপর টানা হরতাল অবরোধের প্রভাবও দৃশ্যমান। আমদানি এবং সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় আদা, রসুন, পেঁয়াজ, ছোলা, ডাল,মসলাসহ সব ভোগ্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করতে সরকারকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।
এসজেড/
Leave a reply