সাজায় আপত্তি নেই, তবে খালাস দিলে মানুষের কাছে আদালতের সম্মান বাড়বে: হাইকোর্টে হাবিব

|

বিচারপতিকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ৫ মাসের সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার বেঞ্চ কারাদণ্ডের এ আদেশ দেন।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে হাবিবকে গ্রেফতার করা করা হয়। এরপর তাকে আজ আদালতে তোলা হয়। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টার মৌখিক ব্যাখ্যায় আদালতকে হাবিব বলেন, সাজা দিলেও আপত্তি নেই। তবে খালাস দিলে দেশের মানুষের কাছে আদালতের সম্মান বাড়বে।

বিচারপতিকে নিয়ে করা মন্তব্যের বিষয়ে রায় ঘোষণার আগে অটল থাকেন হাবিব। এজলাসে দাঁড়িয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত; শত বছর সাজা হলেও ভয় পাই না। খালেদা জিয়া আমার মা, মহীয়সী নেত্রী। টেলিভিশন টকশোতে যা বলেছি, মায়ের জন্য আবেগ থেকে বলেছি। মাকে নিয়ে কেউ কটু কথা বললে তাকে ছাড়া হবে না।

সবশুনে আদালত হাবিবকে সাহসী সন্তান আখ্যা দিয়ে বলেন, রাজনীতিবিদ অনেক কথাই বলতে পারেন। তবে বিচার বিভাগ নিয়ে কথা বলতে গেলে সতর্ক থাকতে হবে। বিচারপতিকে কবর থেকে তুলে আনতে চাইলে কিংবা বিচারপতিকে কবর দিতে চাওয়া বিচার বিভাগকে কবর দেয়ার সমান।

হাবিবের রায় ঘোষণার সময় আপত্তি জানান বিএনপির আইনজীবী নেতারা। এ সময় বিচারপতির সঙ্গে বাক-বিতণ্ডাও হয়। এ সময় আদালত বলেন, হাবিবুর রহমান তার নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা দেখিয়েছেন, কিন্তু বিচারপতি নিয়ে এভাবে কথা বলতে পারেন না। কিছু কিছু শাস্তি সমাজের জন্য কল্যাণকর। এভাবে যে যা বলতে থাকলে দেশে আদালতও থাকবে না, রাজনীতিও থাকবে না।

রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়েও বিএনপি নেতা হাবিব বলেন, খালেদা জিয়া আমার নেত্রী। উনার জন্য কিডনি, জীবন দিতে প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় এর ব্যাখ্যা দিতে হাবিবকে গত ১৫ অক্টোবর তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

আদালত হাবিবকে ৬ নভেম্বর হাজির হতে বলেছিলেন। কিন্তু সেদিন তিনি হাজির না হওয়ায় ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট। আজ পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply