দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর বাড়ি ফিরবেন হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে বন্দিরা। অপেক্ষার প্রহর যেন কাটছে না উভয় পক্ষেরই স্বজনদের। আবেগ উৎকণ্ঠায় কাটছে প্রতিটি মুহূর্ত। অবশ্য অস্ত্রবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে তাদের স্বজনরা ফিরে আসতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না। তাই এখন পালা শুধুই অপেক্ষার। খবর আল জাজিরার।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে পুরোপুরি বিধ্বস্ত অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজা। বেঁচে থাকাটা যেন এখানে বড় বিস্ময়ের বিষয়। অসহায় মৃত্যুই হয়ে উঠেছে অবধারিত নিয়তি। অবশ্য গাজাকে একেবারে মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। বন্দি বিনিময়েও দু’পক্ষ একমত হয়েছে। এমন ঘোষণায় চরম উত্তেজনায় দিন কাটছে বন্দিদের পরিবারের।
ইসরায়েলের হাতে বন্দি এক ফিলিস্তিনির মা জানান, রাত পেরিয়ে ভোর হয়ে গেলেও আমার চোখে ঘুম আসছিলো না। আমার ছেলেকে ইসরায়েলিরা আটক করে নিয়ে যায় ২০১৫ সালে। দীর্ঘ ৮ বছর আমার ওকে আমি দেখি না। আশা করি কোনো বিপত্তি ঘটবে না। আমার ছেলে ঠিক ভাবে আমার কাছে এসে পৌঁছবে।
তবে তেলআবিবের এ ঘোষণায় আশাবাদী নন, এমন মানুষও কম নন। বরাবর চুক্তি ভাঙায় তাদের কথায় বিশ্বাস করতে পারছে না ফিলিস্তিনিরা। অস্ত্রবিরতির পর হামলা আরও জোরালো হবে সেই আশঙ্কায়ও করছেন কেউ কেউ। মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ইসরায়েলের কারাগারে বিনা বিচারে বন্দি থাকা ৬ হাজার ফিলিস্তিনিরও।
তেলআবিবের হাতে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দির বাবা জানান, আমি নিজেও ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ছিলাম। কারাগারে বন্দিদেরকে কোনো কাপড় দেয়া হয় না। সেই সাথে খাবার কিংবা পানিও সরবরাহ করা হয় না। আমি চাই, কারাগারে বন্দি সবাইকে মুক্ত করে দেয়া হোক। বছরের পর বছর বিচার ছাড়া ওই কারাগারে অমানবিক নির্যাতন চলে বন্দিদের ওপর।
ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ৩০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করার বিপরীতে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করবে হামাস। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অন্যদিকে মুক্তি পেতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ২৭৪ জনই পুরুষ। যাদের প্রায় সবাই ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর।
এসজেড/
Leave a reply