চলমান হরতাল ও অবরোধের প্রভাবে ব্যয় বাড়ছে সবজি পরিবহনে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক চাষিদের। শীতের আগাম সবজি চাষ করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর এই উপযোগী সময়টিতে বড্ড প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের ৩০ শতাংশ সবজির চাহিদা পূরণ হয় এ অঞ্চল থেকে। তবে এবার তাতে ভাটা পড়েছে। সবজি পরিবহন কম হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যয়ও বাড়ছে।
শীতের আগাম সবজি বাজারে তুলতে ভাদ্র-আশ্বিন থেকেই প্রস্তুতি নেন চাষীরা। ব্যস্ততা চলে কার্তিক-অগ্রহায়ণ পর্যন্ত। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। তবে এবার বাঁধ সেধেছে টানা হরতাল ও অবরোধ। এতে সবজি পরিবহনে ব্যয় বাড়ছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে চাষীরা।
চাষীরা বলছেন, টানা হরতাল-অবরোধের কারণে সবজি পরিবহনে অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে তাদের। তবে সেই তুলনায় লাভ হয় না। এ কারণে সব সবজি মোকামে পাঠাতেও পারছেন না তারা। ফলে জমিতে থেকেই নষ্ট হচ্ছে অনেক ফসল।
অন্যদিকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে শঙ্কা নিয়েই রাস্তায় পরিবহন নামাচ্ছেন চালকরা। সময়মতো গন্তব্য সবজি পৌঁছানো এখন চ্যালেঞ্জে বাড়ছে।
দেশের ৩০ শতাংশ সবজির চাহিদা পূরণ হয় চুয়াডাঙ্গা থেকে। তাই বাধ্য হয়েই কৃষকরা অতিরিক্ত খরচে সবজি পরিবহন করছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, এখনও কোনো ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়নি চাষীদের।
জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম বলেন, হরতাল অবরোধের কারণে সবজি পরিবহনে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোনো ধরনের সমস্যার কথা জানালে, তা সমাধানে সচেষ্ট রয়েছি আমরা।
এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে শীতের আগাম সবজির চাষ হয়েছে। তবে টানা হরতাল-অবরোধের কারণে ক্ষতির শঙ্কা করছেন চাষীরা।
এসজেড/
Leave a reply