সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোরের লালপুরে স্বাস্থ্যকর্মী মাহমুদা শারমিন বীথি হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাতে পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাহিদ বড়াইগ্রামের কামারদহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বীথি ক্লিনিক থেকে কাজ শেষে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। এ সময় তার মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তোফাকাটা মোড় এলাকায় তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের পাশে মানিব্যাগ ও পুরুষের ব্যবহৃত জুতা পড়ে থাকতে দেখে তা আলামত হিসাবে জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সেদিন বিকেলেই ভিকটিমের বাবা আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম স্বীকার করেছে বিথীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় পূর্ব পরিকল্পনামাফিক বিথীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সে।
মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে।
/এমএইচ
Leave a reply