দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আহ্বান জানিয়ে ১৪১ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার দেয়া বিবৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতির প্রতিবাদে ৩৮৫ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নতুন করে বিবৃতি দিয়েছেন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) তারা এই বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, তফসিল বাতিলের দাবিতে ১৪১ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার বিবৃতিটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিবৃতির বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠ নয় এবং এতে যেসব তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর।
আরও বলা হয়, তফসিল ঘোষণার পূর্বে কমিশন সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশন মতবিনিময়ের জন্য একাধিকবার আমন্ত্ৰণ জানিয়েছে। এ আহ্বানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেনি। এমনকি তাদেরকে পৃথকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সাড়া দেয়নি। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
বিবৃতিতে তারা বলেন, একটি মহল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এক তরফা নির্বাচনের তফসিল আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি করছে। তফসিল নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের জন্য প্রযোজ্য এবং উম্মুক্ত। তাহলে কীভাবে এই তফসিল একতরফা হয়? কীভাবে অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তা কমিশনের সংবিধান সম্মত তফসিলকে এক তরফা তফসিল হিসেবে আখ্যায়িত করে তা বাতিলের সুপারিশ করেন? এই প্রয়াস বাংলাদেশকে একটি সাংবিধানিক শূন্যতার দিকে ঠেলে দেয়ার নামান্তর বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, অবসরপ্রাপ্ত সচিব, পুলিশের সাবেক আইজি, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক সদস্য, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
/এনকে
Leave a reply