রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহীতে ভোটের আগে হঠাৎই আলোচনায় ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট’ বা বিএনএম। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু নতুন দলটিতে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। বিএনএম থেকেই তিনি মনোনয়ন চেয়েছেন রাজশাহীর একটি আসনে। সেই সাথে, জেলার ৬টি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে দলটি। নেতাদের দাবি, তাদের মনোনয়নে আরও চমক থাকতে পারে।
নব্বইয়ের আন্দোলনে মতিউর রহমান মন্টু ছিলেন ছাত্রদল নেতা। বিএনপি নেতাদের মতে, মন্টু, খালেদা জিয়ার এতোটাই স্নেহধন্য ছিলেন যে, সেই সময় রাজশাহী এলে তার বাড়িতে একবার হলেও যেতেন বিএনপি নেত্রী। ছাত্রদল থেকে যুবদলে যোগ দিয়ে মন্টু হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। সবশেষ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনের আগে তাই মতিউর রহমান মন্টুর হঠাৎ বিএনপি ছেড়ে নতুন দল বিএনএম-এ যোগদান নিয়ে রাজশাহী জুড়ে চলছে আলোচনা।
ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে মূল দল করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে। তার দাবি, বিএনপির জন্য অনেক ত্যাগস্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। মনোনয়ন চেয়েও পাননি। সে কারণেই তিনি এবার বিএনএমের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন রাজশাহী-৩ আসন থেকে।
এ নিয়ে মতিউর রহমান মন্টু জানান, বিএনপি থেকে আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। তবে এই দল থেকে আমি যথাযোগ্য সম্মান পেয়েছি। বিএনএমের মাধ্যমেই বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন সুসংগঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনএম নেতারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে রাজশাহীর ৬টি আসনেই প্রার্থী দেবেন তারা। এরই মধ্যে বিএনপির আরও অনেক নেতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে দাবি দলটির।
বিএনএমের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দল থেকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা আছে। জনগণের মধ্যে ভালো সাড়া আছে এমন ব্যক্তিকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।
যদিও ওই নেতাদের বিএনএম-এ যোগ দেয়া দলের জন্য কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা। তিনি বলেন, মতিউর রহমান মন্টুর রাজশাহীতে কোনো প্রভাব নেই। এ জন্য তাকে কেউ সেভাবে মূল্যায়ন করে না, আমরাও করি না। তিনি দল ছেড়ে দিলে তার জন্য আমাদের দলের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
এসজেড/
Leave a reply