ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আমাকে বলেছে, প্রয়োজনে ঢাকায় এসে আমার জন্য ভোটের প্রচার করবে। এরপর আমি ওকে কলকাতায় যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলাম, সেটা মনে করিয়ে দিলাম। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে এ কথা বলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’খ্যাত অভিনেতা ফেরদৌস।
সিনেমার রূপালি পর্দা থেকে সদ্য রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন ফেরদৌস আহমেদ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়ক। ফলে নির্বাচনী ব্যস্ততায় বর্তমান সময় পার করছেন তিনি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের সিনেমারও পরিচিত মুখ ফেরদৌস আহমেদ। রাজনীতির মাঠে নামার ‘গ্রিনকার্ড’ পাওয়ার জন্য ফেরদৌসকে কি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টলিউড তারকারা? এ বিষয়ে ফেরদৌস বলেন, অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাও জানিয়েছেন এবং আগ বাড়িয়ে নাকি ঢাকায় এসে বন্ধুর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এরপর হাসতে হাসতে ফেরদৌস তাকে মনে করিয়ে দেন ‘কলকাতা কাণ্ড’র কথা!
কী ছিল সেই কলকাতা কাণ্ড? ২০১৯ সালের ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে পড়েন ‘বাংলাদেশের নায়ক’ ফেরদৌস। একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতে এসে ভোটের প্রচার করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তুলে এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ পেশ করে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
পরে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসে ঢাকাই সিনেমার এই নায়কের ওপর। প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। অবশেষে ভারতের ভিসা পান তিনি।
১৯৯৮ সালে বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমায় অভিনয় করে সর্বপ্রথম সবার নজরে আসেন ফেরদৌস। এই সিনেমার জন্য ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এরপর থেকে কলকাতার সিনেমার নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেন তিনি। ২০০১ সালে ‘ওস্তাদ’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বাঁধেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে। এরপর অসংখ্য সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা-ফেরদৌস।
/এএম
Leave a reply